ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার বন্ধ থাকল প্রথম আলো, কর্মীদের মানববন্ধন এক রাতে নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ: ২ সংবাদপত্র বন্ধ, সম্পাদক আক্রান্ত, ৩২ নম্বর, ছায়ানট, ভারতীয় হাই কমিশনের ৩ শাখায় আগুন  শরীফ ওসমান হাদির শহীদি মৃত্যুতে যুক্তরাজ্য বিএনপির শোকবার্তা জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে লন্ডনে ডা. শফিকুর রহমান ‘অপপ্রচার ও গুজবে’ কান না দেওয়া ও হঠকারীমূলক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে আগুন খুলনায় সাংবাদিককে মাথায় গুলি করে হত্যা ওসমান হাদির মৃত্যু, শাহবাগ ও ঢাবি উত্তাল, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক, সংযমের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নিয়োগ  একুশে বইমেলা ২০ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে

খুলনায় সাংবাদিককে মাথায় গুলি করে হত্যা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 27
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা মহানগরীতে ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেবাশীষ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর আড়ংঘাটা থানার শলুয়া বাজার এলাকায় জনতা ব্যাংকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদুল হক মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি ‘বর্তমান সময়’ নামে একটি নিউজ পোর্টাল পরিচালনা করতেন এবং ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শলুয়া বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে প্রথমে দুর্বৃত্তরা দেবাশীষ বিশ্বাসের বুকে গুলি করে। এরপর তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিক মিলনের মাথায় গুলি চালানো হয়। পরে আরও তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইমদাদুল হক মিলন শলুয়া বাজারে জনতা ব্যাংকের পাশের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন দুর্বৃত্ত এসে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তার সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে থাকা দেবাশীষও গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দেবাশীষ বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তিনি শলুয়া বাজার এলাকার সাবেক মেম্বার রবিন বিশ্বাসের ছেলে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শলুয়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক মিলনসহ দুজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অপরজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাদের কারা কেন গুলি করেছে, তার কারণ অনুসন্ধান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনায় সাংবাদিককে মাথায় গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় : ১২:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

খুলনা মহানগরীতে ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেবাশীষ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর আড়ংঘাটা থানার শলুয়া বাজার এলাকায় জনতা ব্যাংকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদুল হক মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি ‘বর্তমান সময়’ নামে একটি নিউজ পোর্টাল পরিচালনা করতেন এবং ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শলুয়া বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনে প্রথমে দুর্বৃত্তরা দেবাশীষ বিশ্বাসের বুকে গুলি করে। এরপর তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিক মিলনের মাথায় গুলি চালানো হয়। পরে আরও তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইমদাদুল হক মিলন শলুয়া বাজারে জনতা ব্যাংকের পাশের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন দুর্বৃত্ত এসে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় তার সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে থাকা দেবাশীষও গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দেবাশীষ বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তিনি শলুয়া বাজার এলাকার সাবেক মেম্বার রবিন বিশ্বাসের ছেলে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শলুয়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক মিলনসহ দুজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অপরজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাদের কারা কেন গুলি করেছে, তার কারণ অনুসন্ধান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।’