ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 79

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের চিত্র মুছে ফেলেছে প্রশাসন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এলাকার সড়কে আঁকা যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী ও কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিয়েছে হল প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে হল প্রশাসন ছবিগুলো অপসারণ করেছে। তবে হল প্রশাসনের ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব ছবি মুছে ফেলা হয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হলের রবীন্দ্রভবন ও অক্টোবর স্মৃতি ভবনের পাশের সড়কে ছবিগুলো আঁকা হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে সেগুলো মুছে ফেলা হয়।

হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে।

“আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে ‘তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ওই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে থাকা দ্রোহ দিয়ে এই ছবিগুলো এঁকেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “হল প্রশাসন আমাদের—সিকিউরিটি কনসার্নের দোহায় দিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এই কাজের জন্য হল প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বলা হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, “কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছবিগুলো এঁকেছিল। তারা অনুমতি নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো প্রদর্শন করবে। কিন্তু এসব ছবি আঁকার বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) নজরে আসে। হয়তো শিক্ষার্থীরাই প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। ফলে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে এগুলো মুছে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন এমন নির্দেশ দিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কারণ জানায়নি।” তবে অভিযোগ নাকচ করে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা শুধু জানতে চেয়েছি, এগুলো কী। আমরা কোনো নির্দেশ দেইনি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এলাকার সড়কে আঁকা যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী ও কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিয়েছে হল প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে হল প্রশাসন ছবিগুলো অপসারণ করেছে। তবে হল প্রশাসনের ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব ছবি মুছে ফেলা হয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হলের রবীন্দ্রভবন ও অক্টোবর স্মৃতি ভবনের পাশের সড়কে ছবিগুলো আঁকা হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে সেগুলো মুছে ফেলা হয়।

হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে।

“আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে ‘তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ওই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে থাকা দ্রোহ দিয়ে এই ছবিগুলো এঁকেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “হল প্রশাসন আমাদের—সিকিউরিটি কনসার্নের দোহায় দিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এই কাজের জন্য হল প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বলা হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, “কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছবিগুলো এঁকেছিল। তারা অনুমতি নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো প্রদর্শন করবে। কিন্তু এসব ছবি আঁকার বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) নজরে আসে। হয়তো শিক্ষার্থীরাই প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। ফলে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে এগুলো মুছে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন এমন নির্দেশ দিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কারণ জানায়নি।” তবে অভিযোগ নাকচ করে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা শুধু জানতে চেয়েছি, এগুলো কী। আমরা কোনো নির্দেশ দেইনি।”