ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 52

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতির’ অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৭ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আবদুল হামিদ ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখবিলাসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকার ক্ষতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে আবদুল হামিদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। বাড়িটি ঘিরে সাজসজ্জায় বিপুল ব্যয়ের একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগও তোলা হয়েছে।

অনুসন্ধানের তালিকায় তার তিন ছেলের নামও রয়েছে। তারা হলেন—সাবেক এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, রাসেল আহমেদ তুহিন ও রিয়াদ আহমেদ তুষার।

অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম গঠিত হয়েছে। দলে আরও রয়েছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন।

দুদকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

চলতি বছরের ২০ মার্চ একটি দৈনিকে ‘হামিদের সুখবিলাসে গচ্চা ২৪ কোটি টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, “লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে হামিদের তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। কর্নার প্লট হওয়ায় বাড়ির দুই দিক ফাঁকা। সামনের দিকে রয়েছে প্রবহমান খাল। দু’পাশে হাঁটার (ওয়াকওয়ে) জন্য বাঁধানো পথ। নান্দনিক নকশায় তৈরি ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ। দেশি-বিদেশি ফুল ও শৌখিন পাতাবাহারে সজ্জিত চারপাশ।

“এমনকি খালের পানিতেও ভাসছে পদ্মফুল। লেকপাড় ঘেঁষে সারি সারি খেজুরগাছ। গাছের খাঁজে খাঁজে নিয়মিত রস সংগ্রহের চিহ্ন। খালসংলগ্ন সড়ক আলোকিত করতেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিছু দূর পরপর স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাম্প পোস্ট।”

নিউজটি শেয়ার করুন

‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতির’ অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৭ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আবদুল হামিদ ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখবিলাসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকার ক্ষতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে আবদুল হামিদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। বাড়িটি ঘিরে সাজসজ্জায় বিপুল ব্যয়ের একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগও তোলা হয়েছে।

অনুসন্ধানের তালিকায় তার তিন ছেলের নামও রয়েছে। তারা হলেন—সাবেক এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, রাসেল আহমেদ তুহিন ও রিয়াদ আহমেদ তুষার।

অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম গঠিত হয়েছে। দলে আরও রয়েছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন।

দুদকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

চলতি বছরের ২০ মার্চ একটি দৈনিকে ‘হামিদের সুখবিলাসে গচ্চা ২৪ কোটি টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, “লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে হামিদের তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। কর্নার প্লট হওয়ায় বাড়ির দুই দিক ফাঁকা। সামনের দিকে রয়েছে প্রবহমান খাল। দু’পাশে হাঁটার (ওয়াকওয়ে) জন্য বাঁধানো পথ। নান্দনিক নকশায় তৈরি ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ। দেশি-বিদেশি ফুল ও শৌখিন পাতাবাহারে সজ্জিত চারপাশ।

“এমনকি খালের পানিতেও ভাসছে পদ্মফুল। লেকপাড় ঘেঁষে সারি সারি খেজুরগাছ। গাছের খাঁজে খাঁজে নিয়মিত রস সংগ্রহের চিহ্ন। খালসংলগ্ন সড়ক আলোকিত করতেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিছু দূর পরপর স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাম্প পোস্ট।”