ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ দেশের গ্রিন কার্ড যাচাই হবে, তালিকায় কি বাংলাদেশ আছে?
তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / 119

অভিবাসনের পক্ষে-বিপক্ষে জনমত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান জোসেফ এডলো এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী— “যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, সেসব দেশ থেকে আগত প্রতিটি বিদেশির গ্রিন কার্ডকে পূর্ণাঙ্গ ও কঠোরভাবে পুনরায় পরীক্ষা” করতে হবে, জানান মি. এডলো।

বিবিসি জানতে চাইলে কোন দেশগুলো এই তালিকায় আছে, সংস্থাটি হোয়াইট হাউসের জুন মাসের ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে ১৯টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।

৪ জুনের সেই ঘোষণার শিরোনাম ছিল: রেসট্রিক্টিং দ্য এন্ট্রি অফ ফরেন ন্যাশনালস্ টু প্রটেক্ট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্ ফ্রম ফরেন টেররিস্টস্ অ্যান্ড আদার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড পাবলিক সেফটি থ্রেটস্।

অর্থাৎ বিদেশি সন্ত্রাসী ও জাতীয় নিরাপত্তা–জননিরাপত্তার হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু দেশের নাগরিকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টি সেখানে বলা হয়েছিল।

ঘোষণায় ১২টি দেশের নাগরিকের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ ছিল— আফগানিস্তান, বার্মা/মিয়ানমার, শাড, রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

আর সাতটি দেশ— বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা— আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়।

সাম্প্রতিক বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান নাগরিকের গুলিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠার পরই গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাইয়ের এই সিদ্ধান্ত আসে। আহতদের একজন পরে মারা যান।

আসামি রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানদের জন্য চালু বিশেষ অভিবাসন কর্মসূচির অধীনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন— তার প্রশাসন ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দিকে এগোচ্ছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যবস্থা পুনর্গঠন সম্ভব হয়।

ট্রুথ সোশালে তিনি লিখেছেন, তিনি ‘অ-নাগরিকদের’ সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন।

তিনি আরও বলেন, “যারা অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত করে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে, এবং যেকোনো বিদেশি নাগরিক যদি জনভার হয়ে ওঠে, নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে বা পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়—তবে তাদের বহিষ্কার করা হবে।”

এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই হামলা বড় ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির ইঙ্গিত দেয়।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোসেফ এডলোর পোস্টে গ্রিন কার্ডের বিস্তৃত পর্যালোচনার উল্লেখ থাকলেও হামলার প্রসঙ্গ তোলা হয়নি।

এডলো লিখেছেন, “আমেরিকা এবং তার জনগণের সুরক্ষা সর্বাগ্রে; পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির খেসারত আমেরিকানদের দিতে হবে না।”

গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাই কীভাবে হবে— সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

জুনের ঘোষণার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিবিসিকে জানিয়েছে— নিরাপত্তা উদ্বেগের পাশাপাশি ব্যবসা, ছাত্র ও পর্যটক ভিসায় এসে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করাসহ বিভিন্ন কারণেও ওই দেশগুলো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ঘোষণায় আফগানিস্তানকে নিয়ে বলা হয়, “স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট গ্রুপ” তালেবান দেশটি নিয়ন্ত্রণ করে। পাসপোর্ট বা নাগরিক নথি ইস্যুর বিষয়ে সেখানে দক্ষ বা সহযোগী কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নেই; স্ক্রিনিং ও যাচাই প্রক্রিয়াও অনুপস্থিত।

সঙ্গে যোগ করা হয়— “অতএব আফগান নাগরিকদের (অভিবাসী ও অনভিবাসী) যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার বাতিল করা হলো।”

মার্কিন সেনাদের ওপর বুধবারের হামলার পর ট্রাম্প কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “এই হামলা দেখায় আমাদের দেশ সবচেয়ে বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে।”

আরও যোগ করেন, “পূর্ববর্তী প্রশাসন সারা বিশ্ব থেকে দুই কোটি অজানা, যাচাইবাছাইবিহীন বিদেশিকে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে— এমন সব জায়গা থেকে এসেছে যাদের নামও আপনি জানতে চাইবেন না। কোনো দেশই তার অস্তিত্বের ওপর এমন ঝুঁকি নিতে পারে না।”

গ্রিন কার্ড পর্যালোচনায় যুক্ত সংস্থাটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়, তারা বাইডেন প্রশাসনের সময় অনুমোদিত সব শরণার্থী আবেদন পর্যালোচনা করবে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা বলেছে, নিরাপত্তা ও যাচাই–সংক্রান্ত প্রোটোকল পর্যালোচনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

প্রথম মেয়াদের শুরুতেই সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প।

২০১৫ সালে দেওয়া তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি— “পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে যতক্ষণ না প্রতিনিধি ও প্রশাসন বুঝতে পারে আসলে কী ঘটছে”— এরই ধারাবাহিকতায় সে সিদ্ধান্ত আসে।

এর ফলে কয়েক হাজার পর্যটক, অভিবাসী, ব্যবসায়ী ও গ্রিন কার্ডধারী তৎক্ষণাৎ বিমানবন্দরে জটিলতায় পড়েন; বিমান সংস্থা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তখন নীতির বিস্তারিত যাচাইয়ে ব্যস্ত ছিল।

অনেককে মাঝপথে ফেরত পাঠানো হয় কিংবা যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে উঠতেই দেওয়া হয়নি।

চলতি বছরের জুনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দিতে হোয়াইট হাউস যে বিবৃতি দেয়, তার শুরুতেই ২০১৭ সালের ওই নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরণ করানো হয়, যা পরে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে আলোচিত হয়েছিল।

নির্দিষ্ট কয়েক দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সেই পরিকল্পনা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং বহুবার সংশোধিত হয়। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত সেটি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার অনুমোদন দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ দেশের গ্রিন কার্ড যাচাই হবে, তালিকায় কি বাংলাদেশ আছে?
তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান জোসেফ এডলো এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী— “যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, সেসব দেশ থেকে আগত প্রতিটি বিদেশির গ্রিন কার্ডকে পূর্ণাঙ্গ ও কঠোরভাবে পুনরায় পরীক্ষা” করতে হবে, জানান মি. এডলো।

বিবিসি জানতে চাইলে কোন দেশগুলো এই তালিকায় আছে, সংস্থাটি হোয়াইট হাউসের জুন মাসের ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে ১৯টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।

৪ জুনের সেই ঘোষণার শিরোনাম ছিল: রেসট্রিক্টিং দ্য এন্ট্রি অফ ফরেন ন্যাশনালস্ টু প্রটেক্ট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্ ফ্রম ফরেন টেররিস্টস্ অ্যান্ড আদার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড পাবলিক সেফটি থ্রেটস্।

অর্থাৎ বিদেশি সন্ত্রাসী ও জাতীয় নিরাপত্তা–জননিরাপত্তার হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু দেশের নাগরিকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টি সেখানে বলা হয়েছিল।

ঘোষণায় ১২টি দেশের নাগরিকের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ ছিল— আফগানিস্তান, বার্মা/মিয়ানমার, শাড, রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

আর সাতটি দেশ— বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা— আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়।

সাম্প্রতিক বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান নাগরিকের গুলিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠার পরই গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাইয়ের এই সিদ্ধান্ত আসে। আহতদের একজন পরে মারা যান।

আসামি রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানদের জন্য চালু বিশেষ অভিবাসন কর্মসূচির অধীনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন— তার প্রশাসন ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দিকে এগোচ্ছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যবস্থা পুনর্গঠন সম্ভব হয়।

ট্রুথ সোশালে তিনি লিখেছেন, তিনি ‘অ-নাগরিকদের’ সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন।

তিনি আরও বলেন, “যারা অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত করে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে, এবং যেকোনো বিদেশি নাগরিক যদি জনভার হয়ে ওঠে, নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করে বা পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়—তবে তাদের বহিষ্কার করা হবে।”

এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই হামলা বড় ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির ইঙ্গিত দেয়।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোসেফ এডলোর পোস্টে গ্রিন কার্ডের বিস্তৃত পর্যালোচনার উল্লেখ থাকলেও হামলার প্রসঙ্গ তোলা হয়নি।

এডলো লিখেছেন, “আমেরিকা এবং তার জনগণের সুরক্ষা সর্বাগ্রে; পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির খেসারত আমেরিকানদের দিতে হবে না।”

গ্রিন কার্ড পুনরায় যাচাই কীভাবে হবে— সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

জুনের ঘোষণার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিবিসিকে জানিয়েছে— নিরাপত্তা উদ্বেগের পাশাপাশি ব্যবসা, ছাত্র ও পর্যটক ভিসায় এসে মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করাসহ বিভিন্ন কারণেও ওই দেশগুলো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ঘোষণায় আফগানিস্তানকে নিয়ে বলা হয়, “স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট গ্রুপ” তালেবান দেশটি নিয়ন্ত্রণ করে। পাসপোর্ট বা নাগরিক নথি ইস্যুর বিষয়ে সেখানে দক্ষ বা সহযোগী কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নেই; স্ক্রিনিং ও যাচাই প্রক্রিয়াও অনুপস্থিত।

সঙ্গে যোগ করা হয়— “অতএব আফগান নাগরিকদের (অভিবাসী ও অনভিবাসী) যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার বাতিল করা হলো।”

মার্কিন সেনাদের ওপর বুধবারের হামলার পর ট্রাম্প কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, “এই হামলা দেখায় আমাদের দেশ সবচেয়ে বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে।”

আরও যোগ করেন, “পূর্ববর্তী প্রশাসন সারা বিশ্ব থেকে দুই কোটি অজানা, যাচাইবাছাইবিহীন বিদেশিকে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে— এমন সব জায়গা থেকে এসেছে যাদের নামও আপনি জানতে চাইবেন না। কোনো দেশই তার অস্তিত্বের ওপর এমন ঝুঁকি নিতে পারে না।”

গ্রিন কার্ড পর্যালোচনায় যুক্ত সংস্থাটি গত সপ্তাহে ঘোষণা দেয়, তারা বাইডেন প্রশাসনের সময় অনুমোদিত সব শরণার্থী আবেদন পর্যালোচনা করবে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা বলেছে, নিরাপত্তা ও যাচাই–সংক্রান্ত প্রোটোকল পর্যালোচনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

প্রথম মেয়াদের শুরুতেই সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প।

২০১৫ সালে দেওয়া তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি— “পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে যতক্ষণ না প্রতিনিধি ও প্রশাসন বুঝতে পারে আসলে কী ঘটছে”— এরই ধারাবাহিকতায় সে সিদ্ধান্ত আসে।

এর ফলে কয়েক হাজার পর্যটক, অভিবাসী, ব্যবসায়ী ও গ্রিন কার্ডধারী তৎক্ষণাৎ বিমানবন্দরে জটিলতায় পড়েন; বিমান সংস্থা ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তখন নীতির বিস্তারিত যাচাইয়ে ব্যস্ত ছিল।

অনেককে মাঝপথে ফেরত পাঠানো হয় কিংবা যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটে উঠতেই দেওয়া হয়নি।

চলতি বছরের জুনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দিতে হোয়াইট হাউস যে বিবৃতি দেয়, তার শুরুতেই ২০১৭ সালের ওই নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরণ করানো হয়, যা পরে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে আলোচিত হয়েছিল।

নির্দিষ্ট কয়েক দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সেই পরিকল্পনা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং বহুবার সংশোধিত হয়। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত সেটি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার অনুমোদন দেয়।