ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

এবার শিক্ষকদের উপর জলকামানের সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 60

সচিবালয় যাওয়ার চেষ্টা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ শিক্ষকরা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বাধ্য করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

‘ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’-এর সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিকালে দাবি-দাওয়া জানাতে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পাশের সড়ক দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটকে দেয় পুলিশ।

“কিছুক্ষণ পরেই আমাদের ওপর লাঠি হাতে হামলা চালানো হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামানের মুখে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।”

তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় তিনজনকে ‘গুরুতর আহত’ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

“কয়েকজন সিটি স্ক্যান করছেন, আর অন্যরা চোট পেয়েছেন,” যোগ করেন তিনি।

স্বীকৃত সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। এ দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ১৭ দিন পর ১২ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।

সেদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সেলিম মিয়া জানান, এমপিওভুক্তি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরে ২ নভেম্বর থেকে তারা ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ৩ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুনরায় অবস্থান করছেন শিক্ষকরা।

রোববার সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। একবার আশ্বাসে আমরা ফিরে গেছি। এমপিওভুক্তির আদেশ ছাড়া আমরা ফিরব না।

“আমরা অনশন কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত রমজান মাসে এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১৭ দিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব মহোদয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।

“সরকারকে এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা বন্ধ করে সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানাই। তা নাহলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দাবি আদায় করব।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার শিক্ষকদের উপর জলকামানের সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বাধ্য করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

‘ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’-এর সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিকালে দাবি-দাওয়া জানাতে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পাশের সড়ক দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটকে দেয় পুলিশ।

“কিছুক্ষণ পরেই আমাদের ওপর লাঠি হাতে হামলা চালানো হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামানের মুখে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।”

তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় তিনজনকে ‘গুরুতর আহত’ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

“কয়েকজন সিটি স্ক্যান করছেন, আর অন্যরা চোট পেয়েছেন,” যোগ করেন তিনি।

স্বীকৃত সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। এ দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ১৭ দিন পর ১২ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা।

সেদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সেলিম মিয়া জানান, এমপিওভুক্তি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরে ২ নভেম্বর থেকে তারা ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ৩ নভেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুনরায় অবস্থান করছেন শিক্ষকরা।

রোববার সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ মুনিমুল হক বলেন, “আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। একবার আশ্বাসে আমরা ফিরে গেছি। এমপিওভুক্তির আদেশ ছাড়া আমরা ফিরব না।

“আমরা অনশন কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত রমজান মাসে এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১৭ দিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব মহোদয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।

“সরকারকে এমপিও নীতিমালা ও পরিপত্রের অসম খেলা বন্ধ করে সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার আহ্বান জানাই। তা নাহলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দাবি আদায় করব।”