ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

বাংলাদেশের কেন ফাইটার জেট দরকার, জবাব দিলেন না অর্থ উপদেষ্টা
২৭ হাজার কোটি টাকায় চীনের ২০টি ফাইটার জেট কেনা হচ্ছে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / 124

চীনা ফাইটার জেট

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতাশ হাজার কোটি টাকায় চীন থেকে বিমান বাহিনীর জন্য ২০টি ফাইটার জেট কেনার খবরের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।”

ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চীন থেকে ২০টি জে ওয়ানডিসিই মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কিনছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি নথিতে দেখা যায়, একেকটি উড়োজাহাজের প্রাক্কলিত মূল্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এই হিসেবে ২০টির দর এক হাজার দুইশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা (ডলারের দর ১২৩টাকা হিসেবে)। এর সঙ্গে স্পেয়ার পার্টস, আরও কিছু সরঞ্জাম, বীমা ও ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন সব মিলিয়ে ২০টি উড়োজাহাজে খরচ দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা। আগামী ১০ অর্থ বছরে থোক বরাদ্দ থেকে এই অর্থ সঙ্কুলানের কথা বলা হয়েছে।

গত আগস্ট মাসে উড়োজাহাজ সংগ্রহের এই প্রক্রিয়াটা এগিয়ে নিতে একটি ১২ সদস্য বিশিষ্ট ক্রয় কমিটি গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নিয়োগ দেওয়া একজন এয়ারভাইস মার্শাল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ক্রয় কমিটির সভাপতি।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ, পররাষ্ট্র, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়।

পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিমান বাহিনীর নিয়োগ দেওয়া বিশেষজ্ঞ পরিচালক কমিটিতে রাখার কথা বলা হয় সে সময়।

সরকারের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার কেউ কথা বলতে চাননি। দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

“আপনি তো বিষয়টা জানেন স্যার,” এক সাংবাদিকের এমন দৃষ্টি আকর্ষণী প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “জানলে যে সব বলে দিতে হবে, তাতো না।”

বাংলাদেশের কেন ফাইটার জেটের দরকার হচ্ছে–এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ওটা ওদের ব্যাপার। ওরা এসেস করে কী করছে, আমরা ওর ভিতরে নেই। আমি অর্থের সংস্থানের…।”

“আপনারা তো অনুমতি দিচ্ছেন,” এক সাংবাদিক এমন বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের কেন ফাইটার জেট দরকার, জবাব দিলেন না অর্থ উপদেষ্টা
২৭ হাজার কোটি টাকায় চীনের ২০টি ফাইটার জেট কেনা হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

সাতাশ হাজার কোটি টাকায় চীন থেকে বিমান বাহিনীর জন্য ২০টি ফাইটার জেট কেনার খবরের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।”

ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চীন থেকে ২০টি জে ওয়ানডিসিই মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কিনছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি নথিতে দেখা যায়, একেকটি উড়োজাহাজের প্রাক্কলিত মূল্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এই হিসেবে ২০টির দর এক হাজার দুইশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৪ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা (ডলারের দর ১২৩টাকা হিসেবে)। এর সঙ্গে স্পেয়ার পার্টস, আরও কিছু সরঞ্জাম, বীমা ও ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন সব মিলিয়ে ২০টি উড়োজাহাজে খরচ দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা। আগামী ১০ অর্থ বছরে থোক বরাদ্দ থেকে এই অর্থ সঙ্কুলানের কথা বলা হয়েছে।

গত আগস্ট মাসে উড়োজাহাজ সংগ্রহের এই প্রক্রিয়াটা এগিয়ে নিতে একটি ১২ সদস্য বিশিষ্ট ক্রয় কমিটি গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নিয়োগ দেওয়া একজন এয়ারভাইস মার্শাল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ক্রয় কমিটির সভাপতি।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ, পররাষ্ট্র, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়।

পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিমান বাহিনীর নিয়োগ দেওয়া বিশেষজ্ঞ পরিচালক কমিটিতে রাখার কথা বলা হয় সে সময়।

সরকারের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার কেউ কথা বলতে চাননি। দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

“আপনি তো বিষয়টা জানেন স্যার,” এক সাংবাদিকের এমন দৃষ্টি আকর্ষণী প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “জানলে যে সব বলে দিতে হবে, তাতো না।”

বাংলাদেশের কেন ফাইটার জেটের দরকার হচ্ছে–এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ওটা ওদের ব্যাপার। ওরা এসেস করে কী করছে, আমরা ওর ভিতরে নেই। আমি অর্থের সংস্থানের…।”

“আপনারা তো অনুমতি দিচ্ছেন,” এক সাংবাদিক এমন বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।”