ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে, আগে ১ লাখ টাকা দিতে হতো, এখন ৫ লাখ দিতে হয় : ফখরুল

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 260

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ইদানীং একটি বিষয় খুব কষ্ট দেয়—আজকালকার বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই, প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু দুর্নীতি। এক ব্যবসায়ী আমাকে বললেন, আগে যেখানে ১ লাখ টাকা দিতে হতো, এখন সেখানে ৫ লাখ দিতে হয়। আমাদের মানসিকতার যে পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। রাজনৈতিক নেতারাও এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, যা দেশের আরও ক্ষতি করছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারের ভেতরে এখনো একটি মহল সক্রিয় রয়েছে যারা গণতন্ত্রকামী শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, গণতান্ত্রিক শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। কোথাও কোনও বাধা সৃষ্টি করিনি। এমনকি বড় কোনও দাবি তুলেও সরকারকে চাপে ফেলিনি। কিন্তু বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে নতুন নতুন দাবি তুলছে। এসব দাবি সাধারণ মানুষের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত।”

তিনি আরও বলেন, “সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রতিনিধিত্ব (পিআর) বোঝানোই কঠিন। জনগণ কাকে ভোট দিলো, সেটি সংসদে প্রতিফলিত হলো না। এতে শুধু বিভ্রান্তি তৈরি হয়।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমি পাঁচ তারিখের পরই বলেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে নতুন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারতো। কিন্তু সময়ক্ষেপণের কারণে গণতান্ত্রিক শক্তির পরিবর্তে অন্যরা সুবিধা নিচ্ছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, বলেন, “একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা চলছে, কিন্তু তা সম্ভব নয়। আমরা নিজের চোখে ভাইদের গলা কাটতে দেখেছি। যারা সেদিন সহযোগিতা করেছিল, তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। আমাদের এখন আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যদি মনে করি সব ঠিক হয়ে গেছে, সেটি হবে সবচেয়ে বড় ভুল।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে, আগে ১ লাখ টাকা দিতে হতো, এখন ৫ লাখ দিতে হয় : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ইদানীং একটি বিষয় খুব কষ্ট দেয়—আজকালকার বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই, প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু দুর্নীতি। এক ব্যবসায়ী আমাকে বললেন, আগে যেখানে ১ লাখ টাকা দিতে হতো, এখন সেখানে ৫ লাখ দিতে হয়। আমাদের মানসিকতার যে পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। রাজনৈতিক নেতারাও এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন, যা দেশের আরও ক্ষতি করছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারের ভেতরে এখনো একটি মহল সক্রিয় রয়েছে যারা গণতন্ত্রকামী শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, গণতান্ত্রিক শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। কোথাও কোনও বাধা সৃষ্টি করিনি। এমনকি বড় কোনও দাবি তুলেও সরকারকে চাপে ফেলিনি। কিন্তু বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে নতুন নতুন দাবি তুলছে। এসব দাবি সাধারণ মানুষের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত।”

তিনি আরও বলেন, “সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রতিনিধিত্ব (পিআর) বোঝানোই কঠিন। জনগণ কাকে ভোট দিলো, সেটি সংসদে প্রতিফলিত হলো না। এতে শুধু বিভ্রান্তি তৈরি হয়।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমি পাঁচ তারিখের পরই বলেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে নতুন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারতো। কিন্তু সময়ক্ষেপণের কারণে গণতান্ত্রিক শক্তির পরিবর্তে অন্যরা সুবিধা নিচ্ছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, বলেন, “একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা চলছে, কিন্তু তা সম্ভব নয়। আমরা নিজের চোখে ভাইদের গলা কাটতে দেখেছি। যারা সেদিন সহযোগিতা করেছিল, তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। আমাদের এখন আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যদি মনে করি সব ঠিক হয়ে গেছে, সেটি হবে সবচেয়ে বড় ভুল।”