কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু
- আপডেট সময় : ১২:২৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 89
কুকুরছানা হত্যা মামলায় গৃহবধূ নিশি রহমান (৩৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। থানা থেকে তাকে আদালতে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অভিযুক্ত এই মায়ের রয়েছে দুই বছরের এক সন্তান, যে মায়ের সঙ্গে কারাগারেও রয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী থানা থেকে নিশি রহমানকে পাবনা আমলী আদালত-২ এ আনা হয়। আদালতে নামার পর তার কোলে দেখা যায় দুই বছরের শিশু আনাফকে। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিশুটিও মায়ের সঙ্গেই কারাগারে যায়।
পাবনা জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, ‘যতদূর শুনেছি বাচ্চা এখনো মায়ের বুকের দুধ খায়। তাই তার মায়ের সকারাগারে নিশি, সঙ্গে দুই বছর বয়সী শিশুঙ্গে কারাগারেই থাকবে।’
নিশি রহমানের স্বামী, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার তিন সন্তান—দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড়টি মেয়ে, আর কারাগারে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুটি আমার ছোট ছেলে। তার বয়স দুই বছর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীর জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রোববার (৬ ডিসেম্বর) শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের এক কোনায় একটি কুকুর বসবাস করে আসছিল। এক সপ্তাহ আগে কুকুরটি ৮টি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে ছানাগুলো না পেয়ে মা কুকুরটিকে পাগলের মতো ছুটোছুটি ও কাঁদতে দেখা যায়।
পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী রোববার রাতের কোনো একসময় জীবন্ত ৮টি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে কুকুরছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। রাতেই পুলিশ তাকে ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।















