ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

চারলেন হচ্ছে সিলেট-শেওলা স্থলবন্দর সড়ক —নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 735
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। সরকারের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলাসহ দেশের চারটি স্থলবন্দরকে আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হলে বিয়ানীবাজার তথা সিলেট অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সিলেট-শেওলা স্থলবন্দর সড়ক চারলেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকও অর্থায়ন করতে ইচ্ছা পোষণ করেছে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের কোনাগ্রাম সীমান্ত এলাকার শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আরও বলেন, বিরোধীরা বলে তারাও উন্নয়ন করেছে। হ্যা, আমিও মানি তারা উন্নয়ন করেছে। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে পরিকল্পিত। ১৯৯৭ সালে বিয়ানীবাজারের শেওলা সেতু থেকে শুরু করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু- এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের অনন্য দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী বলেই ‘শেওলা থেকে পদ্মা সেতু’ আজ বাংলাদেশের মানূষের কাছে এক অনুভূতির নাম।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিয়ানীবাজারের শেওলা কাস্টমস স্টেশনকে একটি স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শেওলাসহ চারটি স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করতে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে হাত দেয় সরকার। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১২৪ কোটি টাকা। দীর্ঘ জটিলতার পর আমরা প্রস্তাবিত ২২.১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়মূলক কাজের মধ্যে রয়েছে ওয়ার হাউজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ভবন নির্মাণ, ড্রেন, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়েব্রিজ স্কেল, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিকীকরণ, ওয়াচ টাওয়ার ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার রাশিদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মাহবুব ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব কবির খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রজেক্টের সার্বিক বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের প্রকৌশলী সরোয়ার আহমদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চারলেন হচ্ছে সিলেট-শেওলা স্থলবন্দর সড়ক —নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। সরকারের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলাসহ দেশের চারটি স্থলবন্দরকে আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হলে বিয়ানীবাজার তথা সিলেট অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সিলেট-শেওলা স্থলবন্দর সড়ক চারলেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকও অর্থায়ন করতে ইচ্ছা পোষণ করেছে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের কোনাগ্রাম সীমান্ত এলাকার শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আরও বলেন, বিরোধীরা বলে তারাও উন্নয়ন করেছে। হ্যা, আমিও মানি তারা উন্নয়ন করেছে। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে পরিকল্পিত। ১৯৯৭ সালে বিয়ানীবাজারের শেওলা সেতু থেকে শুরু করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু- এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের অনন্য দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী বলেই ‘শেওলা থেকে পদ্মা সেতু’ আজ বাংলাদেশের মানূষের কাছে এক অনুভূতির নাম।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিয়ানীবাজারের শেওলা কাস্টমস স্টেশনকে একটি স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শেওলাসহ চারটি স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করতে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে হাত দেয় সরকার। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১২৪ কোটি টাকা। দীর্ঘ জটিলতার পর আমরা প্রস্তাবিত ২২.১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়মূলক কাজের মধ্যে রয়েছে ওয়ার হাউজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ভবন নির্মাণ, ড্রেন, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়েব্রিজ স্কেল, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিকীকরণ, ওয়াচ টাওয়ার ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার রাশিদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মাহবুব ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব কবির খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রজেক্টের সার্বিক বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের প্রকৌশলী সরোয়ার আহমদ।