ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বেশ্যাবিদদের ‘এলিট সিস্টেম’!

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 1644
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং  নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি  এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।

এনড্রিয়ড টেকনোলজি  আবিস্কারের   পরের  ইন্টারনেট দুনিয়ায়  কনসেপ্ট  ও  কনটেন্ট ক্রিয়েটররা  যেমন  বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী  রাস্ট্রবিধাতারা  কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও  ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ  করতে এখনও সম্ভব হয়নি।

বলতে গেলে এখানেই  অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।

এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের  ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি  অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।

এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই  অগণন সাধারণ মানুষই ।

নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো  হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার  অন্যতম  কুশীলব  রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায়  এসব  ঘৃণা করতেও  লজ্জাবোধ হয়।

অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।  খেটে খাওয়া  ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।

দৃশ্যপটের  ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার  আমাদের  স্বপ্ন দেখানোর খেলায়  দর্শক বানায়। আর আমরাও  নাচি।  বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।

সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা  আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।

আ নো য়া রু ল  ই স লা ম  অভি , কবি, সাংবাদিক

লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।

পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আনোয়ারুল ইসলাম অভি

সম্পাদক; ৫২বাংলাটিভি ডটকম
ট্যাগস :

বেশ্যাবিদদের ‘এলিট সিস্টেম’!

আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং  নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি  এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।

এনড্রিয়ড টেকনোলজি  আবিস্কারের   পরের  ইন্টারনেট দুনিয়ায়  কনসেপ্ট  ও  কনটেন্ট ক্রিয়েটররা  যেমন  বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী  রাস্ট্রবিধাতারা  কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও  ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ  করতে এখনও সম্ভব হয়নি।

বলতে গেলে এখানেই  অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।

এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের  ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি  অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।

এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই  অগণন সাধারণ মানুষই ।

নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো  হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার  অন্যতম  কুশীলব  রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায়  এসব  ঘৃণা করতেও  লজ্জাবোধ হয়।

অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।  খেটে খাওয়া  ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।

দৃশ্যপটের  ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার  আমাদের  স্বপ্ন দেখানোর খেলায়  দর্শক বানায়। আর আমরাও  নাচি।  বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।

সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা  আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।

আ নো য়া রু ল  ই স লা ম  অভি , কবি, সাংবাদিক

লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।

পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ