ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক: ‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার নামিয়েছে মাঠে’ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা হাদিকে গুলি: প্রধান সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি হাদির মাথা ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তর তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল ধানমন্ডি এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি, নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ‘নীলনকশা’ বলছে বিএনপি

বেশ্যাবিদদের ‘এলিট সিস্টেম’!

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 1655
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং  নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি  এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।

এনড্রিয়ড টেকনোলজি  আবিস্কারের   পরের  ইন্টারনেট দুনিয়ায়  কনসেপ্ট  ও  কনটেন্ট ক্রিয়েটররা  যেমন  বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী  রাস্ট্রবিধাতারা  কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও  ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ  করতে এখনও সম্ভব হয়নি।

বলতে গেলে এখানেই  অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।

এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের  ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি  অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।

এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই  অগণন সাধারণ মানুষই ।

নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো  হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার  অন্যতম  কুশীলব  রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায়  এসব  ঘৃণা করতেও  লজ্জাবোধ হয়।

অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।  খেটে খাওয়া  ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।

দৃশ্যপটের  ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার  আমাদের  স্বপ্ন দেখানোর খেলায়  দর্শক বানায়। আর আমরাও  নাচি।  বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।

সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা  আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।

আ নো য়া রু ল  ই স লা ম  অভি , কবি, সাংবাদিক

লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।

পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আনোয়ারুল ইসলাম অভি

সম্পাদক; ৫২বাংলাটিভি ডটকম
ট্যাগস :

বেশ্যাবিদদের ‘এলিট সিস্টেম’!

আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- বহুল উচ্চারিত কথাটি ইদানিং  নতুন মাত্রা পেয়েছে। এটি  এখন অসংখ্য মানুষের কাছে – নেহায়েত গালির মতো। শুনতে যেমন ঘেন্না লাগে, বলতেও তেমনি।

এনড্রিয়ড টেকনোলজি  আবিস্কারের   পরের  ইন্টারনেট দুনিয়ায়  কনসেপ্ট  ও  কনটেন্ট ক্রিয়েটররা  যেমন  বহুলাংশে বদলিয়ে দিয়েছে মানুষের চিন্তা-চেতনার দুনিয়া। তেমনি, পৃথিবীব্যাপী  রাস্ট্রবিধাতারা  কথা বলার বহু সেন্সরশীপ বা আইনী নীতিমালা তৈরী করেও  ‘কথা বলার স্বাধীনতা’- রোধ  করতে এখনও সম্ভব হয়নি।

বলতে গেলে এখানেই  অগণন সাধারণ মানুষ –যারা প্রতিদিন অন্যায়- অবিচার, লাঞ্চনা-বঞ্চনা ইত্যাদি দেখে-শুনে-হজম করে দিন পার করছেন; তাদেরই বিজয় হয়েছে।

এনড্রিয়ড টেকনোলজির বদৌলতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অন্তত সামাজিক যোগাযোগে নিজের  ক্রোধ,ক্ষোভ, ঘৃণা, হতাশা, তামাশা ইত্যাদি  অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন ।

এবং আলোর দিকটি হলো- এইসব অনাচার-অবিচার-ভন্ডামির কোন কিছু দেখলে- মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগে কনন্টেন্ট বা ছবিটি দ্রুত ভাইরাল করে মূলত এর বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করছেন -এই  অগণন সাধারণ মানুষই ।

নিজের অদম্য চেষ্টায় একজন হিরো আলম যখন তৃণমূল মানুষের চোখে সত্যিকার হিরো  হয়ে ওঠেন। তখন সমাজের তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ ব্যবস্থার  অন্যতম  কুশীলব  রাজনীতিবিদদের মাথা,মণ্ডু আউলা -ঝাউলা হয়ে যেতে দেখে- বিবেকের দায়বদ্ধতায়  এসব  ঘৃণা করতেও  লজ্জাবোধ হয়।

অথচ যুগের পর যুগ এরাই আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।  খেটে খাওয়া  ভোটার ও সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ত মাড়িয়ে দিব্যি সংসদে যায়- এরাই।

দৃশ্যপটের  ওপারে দাড়িয়ে – বিরোধীরাও আবার  আমাদের  স্বপ্ন দেখানোর খেলায়  দর্শক বানায়। আর আমরাও  নাচি।  বার বার এলিয়ে দুলিয়ে নাচি। ভোটের ব্যালটে বার বার ভুলে যাই- অপমান, বঞ্চনা,লাঞ্চনা। প্রিয়জন হারানোর বিয়োগ ব্যাথাও উবে যায়- বেশ্যাবিদদের আবেগি কথায়।

সামাজিক এই দৌরাত্মে, ঘোর অমানিশা সময়েও আমরা  আশা নিয়েই বাঁচতে চাই- তথাকতিত ‘এলিট সিস্টেম’ একদিন নিপাত যাবেই। ৫২ ও ৭২ এর মতো বোধের আলোয় জাগবে অগণন মানুষ।

আ নো য়া রু ল  ই স লা ম  অভি , কবি, সাংবাদিক

লন্ডন ,যুক্তরাজ্য।

পাঁচ দুই দুই হাজার তেইশ