ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

করোনায় আক্রান্ত হয়ে লেবাননে বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • / 1013
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লেবাননের আধুনিস এলাকায় সারবেল ক্যান্নেসি সংলগ্ন একটি লেবানিজ বাসায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবদুল বাতেন নামে (৪২) এক বাংলাদেশীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার মরজাল গ্রামের সুলতান উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, আবেদ করোনায় আক্রান্ত হবার পূর্ব থেকেই পায়ে ব্যথা নিয়ে তিনি শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। পরে কভিড ১৯ টেস্টে তার শরীরে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হওয়ার পর তিনি আইসোলুশনে থাকতে শুরু করেন এবং নিজে থেকেই শেরে উঠার চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তার পাশে থাকা এক লেবানিজ রেডক্রসের সহযোগিতায় তাকে হসপিটালে নিতে চাইলেও তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় অবশেষে শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

দূতাবাসের সহযোগিতায় বর্তমানে তার মরদেহ জালা আবু জাউদি হসপিটালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

আবেদ জীবিকার তাগিদে ছয় বছর পূর্বে লেবাননে পাড়ি জমান।লেবাননে আসার পর থেকেই তিনি কাগজ পত্রহীন ভাবে একটি কাঠের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। দেশে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

তার এই অনাকাঙিক্ষত মৃত্যুর সংবাদ দেশে পৌঁছালে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং তার অসহায় পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। এখন পর্যন্ত আবেদ এর মৃত্যুর ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস তার পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনায় আক্রান্ত হয়ে লেবাননে বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

লেবাননের আধুনিস এলাকায় সারবেল ক্যান্নেসি সংলগ্ন একটি লেবানিজ বাসায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবদুল বাতেন নামে (৪২) এক বাংলাদেশীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার মরজাল গ্রামের সুলতান উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, আবেদ করোনায় আক্রান্ত হবার পূর্ব থেকেই পায়ে ব্যথা নিয়ে তিনি শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। পরে কভিড ১৯ টেস্টে তার শরীরে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হওয়ার পর তিনি আইসোলুশনে থাকতে শুরু করেন এবং নিজে থেকেই শেরে উঠার চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তার পাশে থাকা এক লেবানিজ রেডক্রসের সহযোগিতায় তাকে হসপিটালে নিতে চাইলেও তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় অবশেষে শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

দূতাবাসের সহযোগিতায় বর্তমানে তার মরদেহ জালা আবু জাউদি হসপিটালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

আবেদ জীবিকার তাগিদে ছয় বছর পূর্বে লেবাননে পাড়ি জমান।লেবাননে আসার পর থেকেই তিনি কাগজ পত্রহীন ভাবে একটি কাঠের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। দেশে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

তার এই অনাকাঙিক্ষত মৃত্যুর সংবাদ দেশে পৌঁছালে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং তার অসহায় পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। এখন পর্যন্ত আবেদ এর মৃত্যুর ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস তার পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে।