ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

লেবাননের সেই বিষ্ফোরনে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 1123
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের গুদামে ভয়াবহ কেমিক্যাল বিস্ফোরণে মো. জামাল নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। টানা ২১ দিন স্থানীয় মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আজ সকালে মারা যান তিনি। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়াল ছয় জনে।

নিহত জামালের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। তার বাবার নাম দুধ মিয়া। তিনি ২০১৮ সালে কোম্পানি ভিসায় লেবানন যান। বিস্ফোরণের সময় সে বৈরুত বন্দর সংলগ্ন ঝিমাইজি এলাকায় একটি পিজা সপে কাজ করছিল। বিস্ফোরণে পিজা সপটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জামাল মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাকে মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত ও শতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়। বৈরুতের এই বিস্ফোরণের কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিস্ফোরণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

বিস্ফোরণের কারণ

ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের একটি গোডাউনে মজুত রাখা ২ হাজার ৭০০ টনেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়।

১৯৪০-এর পর থেকেই সার তৈরিতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এটি সাধারণত দলা আকারে থাকে এবং তৈরিতে খরচ বেশ কম। স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট স্থিতিশীল হলেও উচ্চ তাপমাত্রায় এটি বিস্ফোরিত হতে পারে। এমন বৈশিষ্টের কারণেই খননশিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা বোমা তৈরিতেও এ রাসায়নিক ব্যবহার করে।অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ২ হাজার ৩০০ টন সার বহনকারী একটি জাহাজে ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৫০০ মানুষ। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর প্রভাবে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল এবং জাহাজের দেড় টন (১ হাজার ৫০০ কেজি) ওজনের নোঙ্গরটিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ছুড়ে ফেলেছিল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লেবাননের সেই বিষ্ফোরনে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের গুদামে ভয়াবহ কেমিক্যাল বিস্ফোরণে মো. জামাল নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। টানা ২১ দিন স্থানীয় মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আজ সকালে মারা যান তিনি। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়াল ছয় জনে।

নিহত জামালের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। তার বাবার নাম দুধ মিয়া। তিনি ২০১৮ সালে কোম্পানি ভিসায় লেবানন যান। বিস্ফোরণের সময় সে বৈরুত বন্দর সংলগ্ন ঝিমাইজি এলাকায় একটি পিজা সপে কাজ করছিল। বিস্ফোরণে পিজা সপটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জামাল মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাকে মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত ও শতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়। বৈরুতের এই বিস্ফোরণের কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিস্ফোরণের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

বিস্ফোরণের কারণ

ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের একটি গোডাউনে মজুত রাখা ২ হাজার ৭০০ টনেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়।

১৯৪০-এর পর থেকেই সার তৈরিতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এটি সাধারণত দলা আকারে থাকে এবং তৈরিতে খরচ বেশ কম। স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট স্থিতিশীল হলেও উচ্চ তাপমাত্রায় এটি বিস্ফোরিত হতে পারে। এমন বৈশিষ্টের কারণেই খননশিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা বোমা তৈরিতেও এ রাসায়নিক ব্যবহার করে।অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ২ হাজার ৩০০ টন সার বহনকারী একটি জাহাজে ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৫০০ মানুষ। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর প্রভাবে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল এবং জাহাজের দেড় টন (১ হাজার ৫০০ কেজি) ওজনের নোঙ্গরটিকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ছুড়ে ফেলেছিল।