অসমে নতুন করে করোনায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে একটি। এনিয়ে মোট সংক্রমণের ঘটনা দাঁড়াল ৩২-এ। ফয়জুল হক বড়ভূইয়া নামে একজন বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করেছেন ক’দিন আগে। বাকিরা সুস্থ হওয়ার পথে। গতকাল দুজন ও আজ তিনজন করোনায় আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০হিমন্তবিশ্ব শর্মা। করোনায় আক্রান্ত পুরনো সবাইকে ২০ এপ্রিলের আগে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেয়া যাবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশাবাদী।
এদিকে, গতকাল মৃত্যু হয়েছে প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড বলে খ্যাত শিলং-এর বেথানি হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী তথা প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ জন এল সাইলো রাইন্টাথিয়াঙ-এর। ডাঃ সাইলোর পরিবারের লোকজনসহ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মিলে ৬জনের কোবিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। মোট ৬৮ জনের টেস্ট করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ডাঃ সাইলোর ট্র্যাভেল হিস্ট্রি না-থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মেঘালয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তবে তাঁর জামাতা এয়ারইন্ডিয়ার পাইলট। আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ হওয়ার পর তিনি ২৪ মার্চ শিলং এলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে ডাঃ সাইলো তাঁর জামাতাকে আনতে গিয়েছিলেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে সংক্রমণের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবগুলো রাজ্যই করোনা সংক্রমণের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হল!
এদিকে, বরাক উপত্যকার তিন জেলা যথাক্রমে, করিমগঞ্জ, কাছাড় ও হাইলাকান্দিসহ অসমের সাতটি জেলাকে নন-হটস্পট বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মরিগাঁও, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, নলবাড়ি ও গোলাঘাট এই পাঁচটি জেলাকে রেড জোন অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের জন্য হটস্পট বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল ক্ষেত্রবিশেষে যান চলাচল ও শ্রমিকদের কাজে যোগদানসহ নিত্য পণ্য সামগ্রী পরিবহনে শর্তসাপেক্ষে শীতিলতা আনা হবে বলে সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে।