যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গ্রিসে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করানা ভাইরাসজনিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল লক্ষ্য করার মতো। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনা ভাইরাস হতে বিশ্ববাসীর আশু মুক্তি ও দেশের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ জুম প্লাটফর্মে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের নেতৃবৃন্দ, গ্রিস আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিগণ। কর্মসূচির শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী ৩০ লাখ শহিদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ভিডিওবার্তা প্রদর্শন করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ গত পঞ্চাশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের সম্মানসূচক কাতারে অন্তর্ভুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ও ভবিষ্যতে আরো সাফল্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসাথে তারা প্রবাসে আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরার জন্য আরো বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, একমাত্র ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও স্বনির্ভর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমেই জাতির পিতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের লাখো শহিদের আত্মত্যাগ সফল করা সম্ভব হবে।