আজকের বাংলাদেশ দল নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্নই আছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা।ইংল্যান্ড দলের ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে পারছেন না সাকিব-মাশরাফীরা।অবশেষে মেহেদীর ক্যাচের মধ্যি দিয়ে ১২৮ রান দিয়ে মাশরাফির হাতেই প্রথম উইকেট খোয়ালো ইংল্যান্ড।
যদিও গতকালও চিন্তিত ছিলেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। আগেরদিনই বাংলাদেশের সমর্থকদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। লন্ডন কিংবা কার্ডিফ, যেখানেই বাংলাদেশ দল, সেখানেই বাংলাদেশি সমর্থকদের ঢল- এটা যেন নৈমিত্তিক ঘটনা। নিজেদের মাঠে খেলতে নামলেও ইংলিশদের মনে হবে যেন, তারা অন্যের মাঠেই খেলতে নেমেছে। নিজ দেশেই পরবাসী- এমনই অবস্থা ইংলিশদের।কিন্তু বিষয়টা এরকম না। আজ সোফিয়া গার্ডেনে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশী সমর্থক ইংল্যান্ডের।
তবুও কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে ঢল নেমেছে টাইগার সমর্থকদের।কিন্তু অনুপাতের দিক দিয়ে গত দু খেলার চেয়ে বাংলাদেশের সমর্থক কার্ডিফে কিছুটা হলেও কম। মাশরাফিদের জার্সি পরে, মাথায় পতাকা পেঁচিয়ে কিংবা হেড ব্যান্ড বেঁধে, হাতে ছোট পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সোফিয়া গার্ডেনের গ্যালারিতে উৎকন্ঠায় আছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে প্রচুর বাংলাদেশির বসবাস। শুধু কার্ডিফ কেন, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখার জন্য লন্ডন, ম্যানচেস্টার, লিভারপুলসহ ইংল্যান্ডের প্রতিটি শহর থেকেই সোফিয়া গার্ডেনের সামনে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। মাশরাফি-সাকিবদের সমর্থন, উৎসাহ দিতে নিজেদের উজাড় করে দেন বাংলাদেশের সমর্থকরা সব খেলা্য়ই, কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড তাদের পারফরমেন্স ধরে রেখেছে, তাই গ্যালারীতে নেই অন্যান্য দিনের মতো উত্তেজনা।
লন্ডনের দ্য ওভালে আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে তুমুল লড়াইয়ের পর ২ উইকেটে হেরে গেলেও বাংলাদেশি সমর্থকদের তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন কিউই ব্যাটসম্যান রস টেলর। তিনি তো মুখ ফুটে বলেই দিলেন, আমার মনে হচ্ছিল যেন ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে খেলছিলাম ম্যাচটা।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচেও খেলেছিল লন্ডনের দ্য ওভালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও ওভালের গ্যালারি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশি সমর্থকে। দেখে যেন মনে হচ্ছিল, মিরপুরেই খেলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনেও ঠিক একই অবস্থা। হাজার হাজার বাংলাদেশি সমর্থক উপস্থিত হয়েছেন আজও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। শুধু বাংলাদেশি কেন, অনেক বিদেশিকেও দেখা গেছে বাংলাদেশের জার্সি, হেড ব্যান্ড কিংবা পতাকা নিয়ে মাশরাফিদের উৎসাহ দেয়ার জন্য হাজির হয়ে গেছেন কার্ডিফে।
স্টেডিয়ামের পাশেই অস্থায়ী বিক্রেতারা বাংলাদেশের জার্সি, ক্যাপ এবং পতাকা বিক্রি করছেন। সেখান থেকে শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, বিদেশিরা পর্যন্ত পতাকা, জার্সি, ব্যানার কিংবা ক্যাপ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।