মুহাম্মদ শাহেদ হোসাইন। একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফাইনান্স কন্সালটেন্ট এবং রাজনীতিবিদ। কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমেরিকা, ইউকে এবং কানাডাতে।
কম সময় ইউকেতে নিজের একাউন্টেন্ট ফার্ম ব্যবসায় অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। কাজ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানিগুলোতে। সবকিছু ছাড়িয়ে তিনি একজন সমাজসেবক এবং রাজনীতিবিদ। তাইতো রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের এবং কমিউনিটির সেবা করতে চান।
শাহেদ হোসাইন এবার প্রার্থী হয়েছেন সেন্ট্রাল লন্ডনের একেবারে কাছেই হ্যাকনি সাউথ ও শর্ডিচ আসনে। যুদ্ধ বিরোধী নেতা জর্জ গ্যালওয়ের দল ওয়ার্কার্স পার্টি ব্রিটেনের মনোনিত প্রার্থী তিনি। এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি খুবই আশাবাদী। বিশেষ করে তার দল গাজা ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে ব্রিটেনজুড়ে।
এছাড়াও সেন্ট্রাল লন্ডনের একেবারে কাছে থাকার পরও হ্যাকনি সাউথ ও শর্ডিচ আসনটি অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা বঞ্চিত বলে মনে করেন তিনি। এই আসনের জনগণের সত্যিকারের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি কাজ করতে চান। বিশেষ করে স্থানীয় এলাকায় ক্রাইম কমিয়ে আনা, সব ক্ষেত্রে ফান্ডিং বাড়ানো এবং এনএইচএস এর সার্ভিস মান আরো উন্নত করতে চান। তরুনদের জন্য কাজের সুবিধা, বয়স্কদের সেবার পরিধি বাড়ানো এবং মহিলাদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজ করতে চান শাহেদ হোসাইন। সর্বোপরি হ্যাকনি সাউথ ও শর্ডিচ আসনটিকে লন্ডনের মধ্যে একটি স্মার্ট এবং মডেল আসনে পরিনত করতে চান তিনি। এই আসনটিতে বিগত দিনে স্থানীয় এমপির ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেন শাহেদ হোসাইন।
শাহেদ হোসাইন দুই সন্তানের জনক। উচ্চ শিক্ষিত, ভদ্র এবং পরিমার্জিত শাহেদ হোসাইন কানাডায় পড়ালেখা করেছেন। মাত্র ২০ বছর আগে ইউকেতে পাড়ি জমান তিনি। এদেশে এসে সফলতার সাথে আরো পড়াশোনার পর ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। গড়ে তুলেন নিজের একাউন্টেন্সি ফার্ম। স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন অর্থনৈতিকভাবে। কমিউনিটি এবং সমাজসেবায় তার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তার চারিটি সংস্থা এথনিক ইণ্ট্রিগ্রেশন সোসাইটির মাধ্যমে অবিভাসিদের কল্যানে কাজ করছেন। তাদের অধিকার আদায়ে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাহেদ হোসাইন একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পৈত্রিক নিবাস সিলেটের বিয়ানীবাজারে। তার বড় ভাই সারোয়ার হোসাইন কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি এমপি প্রার্থী ছিলেন বিয়ানীবাজার এবং গোলাপগঞ্জ আসনে।
শাহেদ হোসাইন মনে করেন নির্বাচনে তার বিজয়ের অনেকটাই সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি জনগন অনেকটাই বিরক্ত এবং লেবার পার্টি গাজা ইস্যুতে মানবতাবাদী মানুষকে হতাশ করেছে। তাদের ভূমিকার কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে লেবার পার্টি থেকে। তিনি আশাবাদী এবার ওয়ার্কার্স পার্টি ব্রিটেনকে বেছে নিবেন ভোটাররা।
শাহেদ হোসাইনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন, জনগনের সঠিক মজুরী বৃদ্ধি, অপরাধ দমন করে তরুণদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা, টেক্স থ্রেশল্ড বাড়ানো এবং প্যালেস্টাইন ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রাখা।
লন্ডনে ঈদে ছুটির দাবীতে বাঙালীরা রাজপথে !