বার্সেলোনায় প্রবাসীদের নানা সমস্যা , দুর্ভোগে সহায়তা এবং সরকারের প্রবাসীবান্ধব সেবাগুলো প্রবাসীদের কাছে পৌছে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ বার্সেলোনায় কনস্যুলার সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকারের নেতৃত্বে প্রতি দুইমাসে এই সেবা প্রদান করে আসলেও গত ছয় মাস থেকে কার্যক্রমটি দুই দিনের পরিবর্তে একদিনে কমিয়ে আনা হয়েছে ।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ টীম বার্সেলোনার কাইয়ে উরখেল ১৪৫ নম্বর সেন্ট্রো সিবিক হলে এই দূতাবাস সেবা প্রদান করে।
সকাল ৯টা থেকে বার্সেলোনা সহ এর আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৫ শতাধিক প্রবাসী সেবা নিতে উপস্থিত হোন। লোকজন বেশী হওয়াতে একদিনের জন্য সেবা দিতে আসা দুতাবাস টীমের নির্ধারিত সময় সন্ধা ৭টা পেরিয়ে । এসময় সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা উত্তপ্ত হয়ে হলের ভেতরে ডুকে পড়েন এবং তাদের কাজ শেষ করে যাওয়ার জন্য জোর দাবী জানান। পরে প্রবাসীদের দাবীকে সম্মান জানিয়ে প্রথম শ্রম সচিব শফিফুল ইসলাম রাত ৯:০০ টা পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে উপস্থিত সকল প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেন।
একদিনে প্রায় ১৫ শতাধিক মানুষের সেবা দিতে গিয়ে দূতাবাস টীমকে হীম সীম খেতে হয়েছে। এছাড়াও তাড়াহুড়ো ও অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ভুল করা হয়েছে বলে অনেক অভিযোগ করেছেন সেবাগ্রহনকারী প্রবাসীরা।
সেবা প্রদান দিতে আসেন মাদ্রিদে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ১ম শ্রম সচিব শরিফুল ইসলাম,অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম সহ মোট চারজন দূতাবাস কর্মকর্তা ।
মোট ১৬৪জন প্রবাসীদের মধ্যে পাসপোর্ট বিতরন সহ অন্যান্য সেবাসমুহ হচ্ছে নতুন আবেদনকারী এমআরপি’র এনরোলমেন্ট ,পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ,৬ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের এমআরপি’র আবেদন গ্রহণ,মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারীর ছঁবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ,স্প্যানিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নো-ভিসা আবেদন গ্রহণ,বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়ন এবং প্রবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।
প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশী অধ্যুষ্যিত বার্সেলোনায় প্রবাসীরা প্রতিমাসে অন্তত দুইদিন সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
কণ্ঠ: জিনাত শফিক