বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মাজলুম জনপদ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ফিলিস্তিন। দেশটির মুসলিমরা ইসরাইলের শাসক ও সেনাবাহিনী দ্বারা চরম অত্যাচারিত-নির্যাতিত। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের প্রতি সমবেদনা জানাতে লন্ডনে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের শান্তি ও স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে এ সমাবেশে ইয়াহুদি সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপও অংশগ্রহণ করে।
গত ৩১ মার্চ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি সংহতি ও সমাবেদনা প্রকাশে এবং ইসরাইলের অন্যায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে হাজারো মানুষের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবিক সংকট নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
দ্য প্যালেস্টাইন ফোরাম ইন ব্রিটেন (পিএফবি) ও প্যালেস্টাইন সোলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি) ‘ভূমি দিবস’ উপলক্ষ্যে যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। এর সাথে সংহতি প্রকাশ করে ফ্রেন্ড অব আল আকসা ও মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটেন (এমএবি)।
প্যালেস্টাইন সোলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি)-এর পরিচালক বিন জামাল বলেন, আমরা আজ এখানে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য একত্র হয়েছি –যারা গাজায় নিজেদের অধিকার ও হারানো ভূমি ফিরে পাওয়ার আন্দোলন করছে।
লন্ডনের হাজারো মানুষের এ সমাবেশে ‘ইসরাইল বের হও’ এবং ‘ফিলিস্তিনের জন্য স্বাধীনতা’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে নতুন সাজে সজ্জিত হয় সমাবেশ স্থল।
লন্ডনের সমাবেশের আগের দিন ৩০ মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারেও হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে এবং ইসরাইলের অন্যায় দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশাল এক সমাবেশে একত্রিত হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২ এপ্রিল সকালে ইয়াহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলের কল্যাণ্ডিয়া ক্যাম্প থেকে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের ২৩ বছরের যুবক মুহাম্মদ আলিদ্বার আদদাওয়ানকে গুলি করে আহত করে। আহত আলিদ্বার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শাহাদাত বরণ করেন। গুলিতে আহত অপর তিন মুসলিম যুবক ইবরাহিম, ইউসুফ এবং নোমানকে গ্রেফতার করে।