বৈরুতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি নিহত বেড়ে ৪, আহত ৯৯
- আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
- / 1439
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত চার বাংলাদেশি নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২১ জন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য।
জানা গেছে, নিহত চারজনই প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদী হাসান রনি (২৫) ও মো. রাসেল (২২), মাদারীপুরের মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লার রেজাউল।
আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে আছেন ৮-১০ জনের মতো। বাকিদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, আহত ২১ জন নৌবাহিনীর সদস্যের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, বিস্ফোরণ স্থলের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত হলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা থাকায় হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বৈরুত বিস্ফোরণের ব্যাপারে এ তথ্য দিয়েছেন লেবাননের রেড ক্রসের প্রধান জর্জ কিত্তানেহ।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, ‘যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সমুদ্রবন্দরে আমাদের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, যেটি ইউনিফিলে কর্মরত ছিল এবং বিস্ফোরণস্থল থেকে এর দূরত্ব ছিল ২০০ গজ। আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে আমি আমার কর্মকর্তা ও দূতাবাসের কর্মচারীরা অতিদ্রত সমুদ্রবন্দরে চলে যাই বিএনএস বিজয় জাহাজের কাছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলি। দেখতে পাই জাহাজের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লেবাননের এ পরিস্থিতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবসময় হালনাগাদ তথ্য নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। যাতে আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটি এখানে ভালো থাকে, তাদের সুচিকিৎসা প্রদান করা এবং বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কোনো চিকিৎসা বা খাদ্যসহায়তা পাঠানো যায় কি না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের দেশ থেকে যদি চিকিৎসা বা খাদ্যসহায়তা এখানে আসে তবে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং লেবাননের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। এছাড়া আমরা পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। লেবাননে বর্তমান পরিস্থিতি বেশ থমথমে। সবাই বেশ আতঙ্কগ্রস্ত। বাংলাদেশি কমিউনিটি যারা আছেন, তারাও আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে তাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারি। লেবাননে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসও তাদের সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করছে।’



















