বিজিবির শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 316

উপদেষ্টা রবিবার (১২ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বিজিবির এবং স্থানীয় মানুষের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত ওই সব স্থানে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বিজিবির সাথে যুথবদ্ধ হয়ে সীমান্তে বেড়া দেয়ার প্রতিবাদ করায় তিনি সীমান্তবর্তী জেলার অধিবাসীদের ধন্যবাদ জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সাথে বিজিবির যোগাযোগ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা কূটনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সীমান্তে বেড়া দেয়া নিয়ে যে সব অসম সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিলের বিষয়ে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারিতে) বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও উপদেষ্টা জানান।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমানা নির্ধারণ এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মোট ০৪টি চুক্তি আছে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম সীমান্ত নির্দেশাবলী-১৯৭৫ অনুযায়ী উভয় দেশের শূন্য লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সামর্থ্যতা সম্বলিত যেকোন কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও, উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্য লাইন হতে ১৫০ গজের মধ্যে যেকোন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্নের ক্ষেত্রে একে-অপরের সম্মতি গ্রহণের বাধ্য-বাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ৪,১৫৬ কি. মি. সীমান্তের মধ্যে ৩,২৭১ কি. মি. স্থানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে এবং ৮৮৫ কি.মি. স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা জানান।
সাংবাদিককদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে আমাদের প্রচুর শক্তি রয়েছে। বিজিবির সাথে জনগণও কঠোরভাবে প্রতিহত করছে। কোন বিরূপ ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বিপিএম ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

















