ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন জানালেন ইনু
- আপডেট সময় : ০৪:২০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 8
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই–আগস্টে কুষ্টিয়ায় সংঘটিত ছয়টি হত্যাকাণ্ডসহ উসকানি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু তার বিচারকার্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য আবেদন করেছেন। নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এই আবেদন জানান।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে ইনুর পক্ষে এই আবেদন উপস্থাপন করা হয়।
ইনুর পক্ষে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী আবেদনটি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।
এদিন পঞ্চম দিনের মতো ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন কাশিমপুর কারাগার-২–এর সাবেক ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন। তিনি মামলার পঞ্চম নম্বর সাক্ষী এবং জব্দতালিকার সাক্ষী। গত ১৫ নভেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালে নিজের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন মামলার পঞ্চম সাক্ষী কাশিমপুর কারাগার-২–এর সাবেক ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন জব্দতালিকার সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। একই দিনে অবশিষ্ট জবানবন্দি দেন সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। তিনি মামলার চতুর্থ নম্বর সাক্ষী। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী তাকে জেরা করেন। গত ৮ ডিসেম্বর এই উপপরিদর্শক জবানবন্দি দেন।
এরও আগে ৭ ডিসেম্বর তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন জব্দতালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেন। গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের জেরা শেষ হয়। সেদিন মামলার দুই নম্বর সাক্ষী বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এর আগের দিন, ১ ডিসেম্বর তিনি সাক্ষ্য দেন।
প্রসঙ্গত, জুলাই–আগস্ট আন্দোলনকে ঘিরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। ওই গুলিতে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ নিহত হন। এ ঘটনায় আরও বহু নিরীহ মানুষ আহত হন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ এনে প্রসিকিউশন ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে।

















