ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিতে চায় আরব আমিরাত জাপা’র বিভিন্ন গ্রুপ নেতাদের নেতৃত্বে ১৮ দলের নতুন জোট  জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন পলক জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করে ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে, বলছে এনসিপি মঙ্গলবার আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আবারও পেছাল দেশে তিন মাসে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৭৩৪ জন বাংলাদেশকে কেন নেপাল–শ্রীলঙ্কার উদাহরণ দিচ্ছে দিল্লি ’৭১-এ জামায়াত কী কী করেছিল, মনে রাখতে বললেন তারেক রহমান বিএনপি থেকে আসনবঞ্চিতদের নিয়ে জোট করল এনসিপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ‘ব্যর্থ’ অন্তর্বর্তী সরকার: টিআইবি

জাপা’র বিভিন্ন গ্রুপ নেতাদের নেতৃত্বে ১৮ দলের নতুন জোট 

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 48

জাপা’র বিভিন্ন গ্রুপ নেতাদের নেতৃত্বে নতুন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ১৮ দলীয় নতুন রাজনৈতিক জোট। ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ) নামের এই জোটে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে প্রধান উপদেষ্টা এবং ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোট গঠনের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ছয়টি। এছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা)-এর মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এনডিএফের শরিক দলগুলো হলো— জাতীয় পার্টি (জাপা-আনিসুল), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ), জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টি (একাংশ), ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ, এলায়েন্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (এডিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণআন্দোলন, গণফ্রন্ট এবং জাতীয় একতা পার্টি।

জোট গঠনের উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন ‘মব কালচারের’ নির্বাচনে রূপ নিতে পারে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘সবার প্রশ্ন নির্বাচন হবে কি-না। অর্থাৎ সরকার এখনো নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে মব কালচারের নির্বাচন। যদি না এই সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে না পারে, নির্বাচন যদি আমরা ঠিকভাবে না করতে পারি, অতীতের নির্বাচনগুলোর ভুল থেকে যদি শিক্ষা নিতে না পারি, তাহলে কিভাবে সম্ভব? বর্তমান যে অবস্থা চলছে সে অবস্থা থাকলে এটি প্রকৃত একটি মব কালচারের নির্বাচন হবে।’

জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৮টি দল একীভূত হয়ে আমরা আজ জোট করেছি। এই জোট কেবল নির্বাচনি জোট নয়, এটি রাজনৈতিক জোট। আমাদের জোটে অংশগ্রহণকারীরা এতে সম্মতি দিয়েই অংশগ্রহণ করছে। দেশ যে বিভাজনের মাঝে আছে আমরা সে বিভাজন দূর করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি উপহার দিব।’

সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে ফেলেছিল। ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন মানুষের কাছে এখনও গ্রহণযোগ্য। এরকম পরিবেশ কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে না?’

এ সময় জোটের মুখপাত্র এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ও তার সরকার সকল দলকে নিয়ে একটি সুস্থ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। কোনো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ক্ষণস্থায়ী হবে। আমাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর টিম ডাকেট, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি কামরুল হাসান খান, ব্রুনাই মিশন প্রধান রোজাইমি আবদুল্লাহ, ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) পুজা ঝাও এবং এফিসাসের কাজী শহীদুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপা’র বিভিন্ন গ্রুপ নেতাদের নেতৃত্বে ১৮ দলের নতুন জোট 

আপডেট সময় : ০৮:০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ১৮ দলীয় নতুন রাজনৈতিক জোট। ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ) নামের এই জোটে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে প্রধান উপদেষ্টা এবং ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোট গঠনের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ছয়টি। এছাড়া জাতীয় পার্টি (জাপা)-এর মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এনডিএফের শরিক দলগুলো হলো— জাতীয় পার্টি (জাপা-আনিসুল), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (মহসিন রশিদ), জাতীয় সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টি (একাংশ), ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ, এলায়েন্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (এডিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণআন্দোলন, গণফ্রন্ট এবং জাতীয় একতা পার্টি।

জোট গঠনের উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন ‘মব কালচারের’ নির্বাচনে রূপ নিতে পারে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘সবার প্রশ্ন নির্বাচন হবে কি-না। অর্থাৎ সরকার এখনো নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে মব কালচারের নির্বাচন। যদি না এই সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে না পারে, নির্বাচন যদি আমরা ঠিকভাবে না করতে পারি, অতীতের নির্বাচনগুলোর ভুল থেকে যদি শিক্ষা নিতে না পারি, তাহলে কিভাবে সম্ভব? বর্তমান যে অবস্থা চলছে সে অবস্থা থাকলে এটি প্রকৃত একটি মব কালচারের নির্বাচন হবে।’

জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৮টি দল একীভূত হয়ে আমরা আজ জোট করেছি। এই জোট কেবল নির্বাচনি জোট নয়, এটি রাজনৈতিক জোট। আমাদের জোটে অংশগ্রহণকারীরা এতে সম্মতি দিয়েই অংশগ্রহণ করছে। দেশ যে বিভাজনের মাঝে আছে আমরা সে বিভাজন দূর করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি উপহার দিব।’

সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে ফেলেছিল। ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন মানুষের কাছে এখনও গ্রহণযোগ্য। এরকম পরিবেশ কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে না?’

এ সময় জোটের মুখপাত্র এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ও তার সরকার সকল দলকে নিয়ে একটি সুস্থ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। কোনো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ক্ষণস্থায়ী হবে। আমাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর টিম ডাকেট, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি কামরুল হাসান খান, ব্রুনাই মিশন প্রধান রোজাইমি আবদুল্লাহ, ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) পুজা ঝাও এবং এফিসাসের কাজী শহীদুল ইসলাম।