হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা প্রান্তর।দশ লক্ষাধিক হাজি এখন সেখানে অবস্হান করছেন । যাদের মধ্যে সাড়ে আট লক্ষাধিক বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা আর বাকি দেড় লক্ষাধিক সৌদি আরবের হাজি ।বাংলাদেশ প্রায় ৬০ হাজার হজযাত্রী ।করোনা অতিমারির দুই বছর পর এতো সংখ্যক হাজির অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলতি বছরের হজ ।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় তাবুর শহর ঐতিহাসিক মিনায় হাজিদের অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ১৪৪৩ হিজরির হজের আনুষ্ঠানিক মূল কার্যক্রম। এর আগে তাওয়াফে কুদুম শেষ করেন হাজিরা ।মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা কেউ বাসে, কেউ পায়ে হেঁটে বা অন্য যানবাহনে মিনার উদ্দেশে রওয়ানা করেন। আগামীকাল শুক্রবার সূর্যোদয়ের পর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফায় গমন করবেন হাজিরা। সেখানে দিনভর অবস্থান করে সূর্যাস্তের পর যাবেন আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
পরদিন শনিবার সূর্যাস্তের পর মিনায় গিয়ে বড় জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করে ফিরবেন মক্কায়, সেখানে কুরবানি পর্ব শেষ করে মাথা মুন্ডানোর পর প্রাথমিক হালাল হবেন। তারপর কাবায় ফরজ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ সেরে রাতেই আবার ফিরে যাবেন মিনার তাবুতে। ওখানে পরপর দুইদিন তিন জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করার মাধ্যমে হজের মূল কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
এবছর হাজিদের নিরাপত্তায় কয়েক হাজার নিরাপত্তাকর্মী, স্বাস্থ্যসেবায় স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, রোবার স্কাউট নিয়োগ রয়েছেন। আকাশে এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টার, স্থলভাগে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে ।
মদিনায় জিয়ারতে গিয়ে অসুস্থ হওয়া হজযাত্রীদের গতকালই এম্বুল্যান্সে মক্কায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ব্যাবস্হাপনায় তিন’শ এতিম, শারিরীক প্রতিবন্ধীও হজে অংশগ্রহণ করছেন।