শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইটের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল  » «   যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, কমেছে আমিরাত থেকে  » «   পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবকে কী বললো ঢাকা?  » «   বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি ইউকের উদ্যোগে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত  » «   নির্বাচনের জন্য জামায়াত আমিরের ৩ শর্ত, ফেব্রুয়ারি ২৬-এর সময়সীমা কঠিন নয়  » «   ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ : কঠিন হবে রাজনৈতিক আশ্রয়  » «   লন্ডনে খালেদা-তারেকের সাথে জামায়াত আমিরের বৈঠক, দুই দল কী বলছে?  » «   উজানে ‘মেগা ড্যামের’ ধাক্কা সামলাতে দিল্লি-ঢাকা-থিম্পুকে জোট বাঁধার ডাক  » «   রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো, বিশ্বাস করেন সাকিব  » «   নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ‘একেবারেই সন্তুষ্ট নয়’ বিএনপি  » «   গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৫১ হাজার  » «   দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা  » «   ট্রাম্প ও শির যুদ্ধ প্রস্তুতি কী বার্তা দিচ্ছে বিশ্বকে  » «   যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের কেন সবসময় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে  » «   ‘তৌহিদী জনতার’ হুমকি : এবার ঢাকায় নাটকের প্রদর্শনী বাতিল  » «  

বিয়ানীবাজারের পূর্ব মুড়িয়ার নওয়াগ্ৰামে হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট



সিলেট বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়ার নওয়াগ্রামে সীমান্ত হাটের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

২৫ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন’র অধিনায়ক ফয়েজ আহমদকে সাথে সীমান্ত হাটের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জেসমিন আক্তার, বিজিবি সীমান্তবর্তী নওয়াগ্রাম ফাঁড়ির ইনচার্জ লায়েক সুবেদার জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন আহমদ, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক আহমদ রেজা চৌধুরী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ ও ভারত, দুদেশের পারস্পরিক সমঝোতায় সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য কয়েকটি সীমান্ত হাট চালু করা হয়। ২০১১ সাল থেকে এপর্যন্ত মোট চারটি সীমান্ত হাট চালু হয়েছে। যেখানে দুদেশের সীমান্ত এলাকার মানুষজন প্রতি সপ্তাহে অন্যদেশের পণ্য কেনার সুযোগ পান।

বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয়ের কালীচরণ ও বালাটে দুই সীমানা হাট অবস্থিত এবং ত্রিপুরার দুটি শ্রীনগর ও কমলসাগরে অবস্থিত।

ভারত সরকার এবং  বাংলাদেশ সরকার  ইতিমধ্যে ৬টি সীমান্তের হাট অনুমোদন করেছে; পাল্বস্তি ও কামালপুরে ত্রিপুরাতে দুটি এবং ভোলগঞ্জ, নলিকাটা, শিবাবাড়ী ও রায়ঙ্গ্কুতে মেঘালয়ে চারটি।

সীমান্ত হাটগুলোতে উভয় দেশের অভ্যন্তরে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী অধিবাসীরা পণ্য বিক্রি করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন এই হাট বসে। তবে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে সপ্তাহে একাধিক দিনেও হাট বসতে পারে। উভয় দেশের ৫০ জন বিক্রেতা এই হাটে ব্যবসা পরিচালনা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদিত বিক্রেতাদের তালিকা সংরক্ষণ করেন।

হাটে উভয় দেশের দু‘পাশে দুটি প্রবেশ পথ থাকে। এছাড়া হাটের সীমানা কাটাতারের প্রাচীর দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র বহন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অনুমোদিত ফরম্যাটে পরিচয়পত্র ইস্যু করেন। সীমান্ত হাটে স্থানীয় মুদ্রায় অথবা বার্টার পদ্ধতিতে পণ্য বিনিময় করা হয়। সীমান্ত হাটে প্রত্যেক ক্রেতা প্রতি হাটে ২০০ ডলারের সমমূল্যের পণ্য স্থানীয় মুদ্রায় ক্রয় করতে পারেন।

স্থানীয় বাজারের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদনের বিপণন প্রচলন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত লোকেদের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্ত হাট  চলে আসছে।

 

 

 

 

 

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন