ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পরে এখন নতুন করে মাঙ্কিপক্স দেখা দিয়েছে ইসরাইল এবং সুইজারল্যান্ডে। ওদিকে মাঙ্কিপক্স পজেটিভ ব্যক্তিদেরকে সবার আগে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেলজিয়াম। সেখানে ২১ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বৃটিশ এসোসিয়েশন ফর সেক্সুয়াল হেলথ অ্যান্ড এইচআইভি’র প্রেসিডেন্ট ড. ক্লেয়ার ডিউস্ন্যাপ বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বৃটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে বৃটিশ একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সব মিলিয়ে মোট ১৪টি দেশে এখন পর্যন্ত এই বিরল রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ ইসরাইল ও সুইজারল্যান্ডে একজন করে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইসরাইল বলেছে, তারা আরও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে নিয়ে অনুসন্ধান করছে। এখন পর্যন্ত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ৮০ জনের শরীরে এই বিরল রোগ দেখা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স খুব সাধারণ বিষয়
মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছে। তবে এই রোগটি মানুষের মাঝে সহজে বিস্তার করার প্রবণতা নেই। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, আরও ৫০ জন ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে তা তদন্ত করছে তারা। তবে এসব ব্যক্তি কোন দেশের তা জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা সতর্ক করেছে এই বলে যে, আরও সংক্রমণের বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যদি এই ভাইরাস আরও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে তা হবে আনুষঙ্গিক। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করছে। প্রথমে এই প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বৃটেনে। তারপর থেকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ইউরোপজুড়ে শনাক্ত করা হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন। বৃটেনের স্বাস্থ্য বিষয়ক এজেন্সি এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২০ জনকে শনাক্ত করেছে। এর প্রধান মেডিকেল উপদেষ্টা ড. সুসান হপকিন্স বলেছেন, প্রতিদিনই আমরা অধিক পরিমাণে শনাক্ত করছি। এই ভাইরাস এখন কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে।