চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আটকে আছে বাহরাইন প্রবাসীদের পাঠানো কার্গো মালামাল। দীর্ঘদিন ধরে কাস্টম হাউসে আটকে থাকায় এর মধ্যে অনেক পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাদবাকি আরো যেসব পণ্য আটকে আছে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রবাসীরা।এতে বিপাকে পড়েছেন বাহরাইনে বাংলাদেশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বাহরাইনের রাজধানী মানামার স্থানীয় এক কার্গো ব্যবসায়ী ৫২বাংলাকে বলেন, আমরা বাহরাইন থেকে সচরাচর যেসব পণ্য কার্গো করে বাংলাদেশে পাঠাই সেসব পণ্য এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের কাছে পৌঁছে যায়। কিন্তু করোনা মহামারী শুরুর সময় প্রায় দেড় বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম হাউসে বাহরাইন থেকে পাঠানো কার্গো পণ্য আটকা পড়ে আছে। আমরা কার্গো ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছি, কাস্টমারদের অভিযোগ সামাল দিতে পারছিনা।কারণ যেসব পণ্য বাহরাইন থেকে কার্গোর জন্য বুকিংনেয়া হয়-তা কাস্টমার ক্যাশ এবং নগদ পেমেন্ট করে থাকেন।এখন কাস্টমারদের আত্মীয়-স্বজনের হাতে সময়মতো আমরা পৌঁছে দিতে না পারায় আমাদের বিরুদ্ধে বাহরাইনের স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হচ্ছে।
বাহরাইন কার্গো এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মিজানুর রহমান ৫২ বাংলাকে বলেন, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো: নজরুল ইসলাম, আশ্বাস দিয়েছেন- বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে দ্রুত প্রবাসীদের এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।
বাহরাইন প্রবাসী মো: সুজন বলেন, আমার বাড়ি ফেনী আমি একজন বাহরাইন প্রবাসী, প্রায় ৩৫ হাজার টাকার (বাহরাইনি ১৭০ দিনার ) দিয়ে কার্গো করেছি কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে গেছে এখনো আমার ফেনীবাসী পরিবার জিসিপত্র পায়নি।
বাহরাইন কার্গো এসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন,করোনার কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বাহারাইন প্রবাসীদের কার্গো পণ্য আটকে পড়া বিষয়টি আমরা দূতাবাসকে জানিয়েছি। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এর সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।