বিয়ানীবাজার উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ১৪টি প্রাথমিক ও ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন বন্যার্তদের জন্য একশ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ত্রাণ দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আরিফুর রহমান জানান, নুরুল ইসলাম নাহিদ (এমপি মহোদয়) সার্বক্ষনিক বন্যার খোঁজখবর নিচ্ছেন। বন্যার্ত মানুষ যাতে নিজেদের অসহায় মনে না করে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরাও মনিটরিং টিম গঠনের পাশাপাশি সরেজমিন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছি। তিনি বর্ষা মৌসুমে যেকোন প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে এই (ইউএনও ০১৭৩০-৩৩১০৩১) নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
সূত্রমতে, উপজেলা প্রশাসন বন্যার্ত এলাকার জন্য ১১টি মেডিকেল টিম, ১১টি স্কাউট টিম, ৫টি ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষক টিম, ১১টি আনসার টিম গঠন করেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ২২ মেট্রিক টন চাল মঙ্গলবার থেকে বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ২২ মেট্রিকটন চাল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ২২শ’ ব্যক্তির মধ্যে বিতরণ করা হবে। একই সাথে একশ’ প্যাকেট শোকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে বিয়ানীবাজারে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে আলোচনা সভা সোমবার সকালে উপজেলা সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মতামত ব্যক্ত করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিরণ মাহমুদ, রাজনীতিক দেওয়ান মাকুসুদুল ইসলাম আউয়ালসহ ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও উপজেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা।