যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রীদের সংগঠন ইডেন লাভ ইউকে এর আয়োজনে শনিবার ৬ ই জুলাই বহি:বিশ্বে প্রথমবারের মতো পুনর্মিলনী ও আড্ডা পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মিতা তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন জাহান বীথি ও নাছিমা আক্তার কাজল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগঠক নিরা মোস্তফা। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাছিনা মমতাজ হাসি ও আয়শা মততাজ খুশি।
দুপুরে মিতা তাহেরের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে সদস্যদের বরণ করে নেয়া হয় | কেক কেটে দেশ ও দেশের বাইরে সবার মাঝে আনন্দ শেয়ার করা হয় | তারপর চলে মধ্যাহ্ন ভোজন ।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপভোগ্য পর্ব স্মৃতিচারণ ও আড্ডায় ছিল সকলের সপ্রাণ উপস্থিতি। হৃদয়ের টানে শত ব্যাস্ততার মাঝেও পুনর্মিলনীতে অংশ নেয়া ‘ইডেন লাভ ইউকে’ সদস্যরা মুহূর্তেই ফিরে যান ইডেনে ।সময় গড়িয়ে যেতে যেতে আড্ডায় যোগ হয় আরো নতুন মুখ। সবার চোখে, মুখে ছিল অপার উচ্ছল হাসি আনন্দের ছাপ। সবকিছু ছাপিয়ে আড্ডায় ছিল শুধু ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিগুলো।
আড্ডাকে আরো প্রাণবন্ত করে ইডেন ছাত্রীদের টুকরো টুকরো নানা মজার ঘটনার স্মৃতিচারণ। জাহান বীথি প্রাণবন্ত উপস্থাপনা শৈলীতে সকলকে এক অভিন্ন বন্ধনে বেধে রাখেন।প্রথমেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলেন ইডেনের দিলশাত বন্যা। এরপর একসময়ের ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় মুখ নাছিমা আক্তার কাজল স্মৃতিচারণ করেন।
জাহান বীথি তার রম্য কবিতায় মনে রাখার মতো স্মৃতি এবং না বলা কথা বর্ণনায় সবাই বার বার ফিরে গেছেন প্রিয় ইডেনের সেই স্বর্গরাজ্যে।
অবিরাম আড্ডায় চলতে থাকে ক্যাম্পাসের প্রচলিত জনপ্রিয় গান। সঙ্গীত শিল্পী মিতা তাহের , তারানা রউফ কান্তা ,কাজী কল্পনা, রুপি আমিন লুপি, নাছিমা আক্তার কাজলের গাণগুলো মুগ্ধতা ছড়িয়ে অনুষ্ঠানকে করেছে আরও প্রানবন্ত। শিল্পীদের সঙ্গে ইডেনের সকল শিক্ষার্থীরা গলা মিলান সেই সব স্মৃতিবিজড়িত গানে।
অনুষ্ঠানের পরিবেশিত হয় পাঁচ মিনিটের নাটিকা। তারানা রউফ কান্তার নির্দেশনায় অভিনয় করেন বন্যা , কাজল ও কান্তা । অনুষ্ঠানে আবৃত্তি শিল্পী মুনিরা পারভীন ও ওয়াহিদা খানম আইরিন এর আবৃত্তি দিয়েছে বাড়তি সৃজন আবহ।
সময়ের কাছে একসময় হার মানে ইডেন লাভ ইউকে এর পুনর্মিলনী ও আড্ডা অনুষ্ঠানটিও। ইডেনের স্মৃতিগুলোর সাথে লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের স্মৃতিগুলোকে একই পুঠুলীতে রেখে সকলকে ছাড়তে হয়েছে অনুষ্ঠান হল। তবে বিদায় মুহুর্তে সকলের মুখে ছিল অন্যরকম তৃপ্তির হাসি। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রাখার প্রত্যয় সবাই ব্যক্ত করে বিদায় নিয়েছেন যার যার নীড়ে। সাথে স্মৃতিরপুঠুলী ভরে নিয়ে গেছেন অপার মুগ্ধতা…।