দায়িত্বহীনতা আর অবহেলার কারণে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন জগন্নাথপুর-সিলেট (জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর) ও সুনামগঞ্জ টু জগন্নাথপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছিলো। কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এর প্রচেষ্টায় সড়কটির শুরু হয়েছে।এর আগে বারবার সড়কটি সংস্কারের দাবি উঠলেও দাবীটি উপেক্ষিত ছিল দীর্ঘদিন থেকে। তবে এবার বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এর নজরে এসেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি ও এলাকাবাসী জানায়, সিলেট বিভাগীয় শহরসহ ঢাকার রাজধানীর সঙ্গে জগন্নাথপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এই সড়কের বেহালদশা বিরাজমান।
২০১৭ সালে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের জগন্নাথপুরের ১৩ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কাজটি পান সুনামগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূরা এন্টারপ্রাইজ। ওই প্রতিষ্ঠান কিছু কাজ করে বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া কাজের তিন মাসের মাথায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।
তখন ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র কাজ করে কাজের নামে সরকারি অর্থ লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৮ সালে ১০ লাখ টাকার জরুরী সংস্কার করা হয়। এর কিছুদিন পর ২০১৯ সালে সড়কের বেহাল দশা দেখা দিলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কে অস্থায়ী মেরামতের জন্য ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। কাজ পায় সুনামগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রেনু এন্টারপ্রাইজ। যৎসামান্য মেরামত করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও। এরপর গত বছরের শেষের দিকে জগন্নাথপুর অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হলে কাজটি পায় মাদারীপুরেরর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হামীম সালেহ (জেভি)।
চুক্তি অনুয়ায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে সড়কে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মার্চের প্রথম দিকে কাজ শুরু হয়। চুক্তি মোতাবেক আগামী বছরের ৩১ মার্চ কাজ শেষ করার কথা।