বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
শিশুর বাম চোখের পরিবর্তে ডান চোখে অস্ত্রোপচার, চিকিৎসক গ্রেফতার  » «   ‘মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত’ বাবর ১৭ বছর পর কারামুক্ত  » «   সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা  » «   ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর স্ত্রীসহ গ্রেফতার  » «   জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট: আপিলে খালেদা-তারেকসহ সবাই খালাস  » «   বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমানননা ও লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ  » «   অফস্টেডে ‘আউটস্ট্যান্ডিং’ টাওয়ার হ্যামলেটস : সরকারের রিপোর্ট বলছে, “শিশুরা পায় চমৎকার সহায়তা”   » «   সাত বছরের শিশুর ধর্ষণের বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে এক মা  » «   বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান  » «   জয় বাংলা স্লোগান দেয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রীকে ৯ তলায় নেয়া হলো সিঁড়ি দিয়ে  » «   ‘সম্পর্ক’ স্বাভাবিক হবে ঢাকায় নির্বাচিত সরকার এলে, জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান  » «   ঘরটি কেন পুড়েনি?  » «   অমর একুশে বইমেলা নিয়ে কী হচ্ছে?  » «   ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে বরখাস্ত করার মত কঠোর হতে পারবেন স্টারমার?  » «   ১১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি করা যাবে না
এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যারিষ্টার সুমনের হাইকোর্টে রিট



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

 

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলোচিত নাম এখন ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন। সমাজের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগতিগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন ফেইসবুক লাইভে প্রায় প্রতিদিনই। অনেক সমস্যার সমাধানও হচ্ছে, যা দৃশ্যমান।

সম্প্রতিক তিনি এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।তাঁর রিট আবেদনে সাড়া দিয়ে হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া

এন্টিবায়োটিক বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

নির্দেশের পরই ফেইসবুক লাইভে এসে ভিডিও বার্তায় ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, যদিও দুএকদিন পর আইনটা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবয়ন হবে। তবে এখন থেকেই জনসচেতনার জন্য সবাইকে হুশিয়ার হতে বলেন তিনি। প্রেসিক্রিপশন ছাড়া কোনো ফার্মেসি যেন অ্যান্টিবায়োটিক  বিক্রি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে তিনি অনুরোধ করেন।

তিনি  একটি জরিপের উদৃতি দিয়ে বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে ২০১৮ সালে শুধু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯শ জন ছিলেন আইসিইউ-এর রোগি। তাদের মধ্যে থেকে ৪শ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের এই ধারা যদি চলতে থাকে তাহলে একটা সময় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাবেন বলেও মতামত দেন তিনি।

জনস্বার্থে দায়ের করা এ-সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ পচিঁশ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারিসহ দুইদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে এ আদেশ দেন।

সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

হাইকোর্ট বলেছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) সার্কুলার জারি করবেন। দুইদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য প্রতি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ব্যারিষ্টার সুমন। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিব ও দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের বিবাদী করা হয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’সহ দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

গত ২২ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফ ‘সুপারবাগস লিঙ্কড টু এইট আউট অব টেন ডেথস ইন বাংলাদেশ আইসিইউ’স’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী।

মৃতদের মধ্যে ৮০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত ইনফেকশনকে দায়ী করা হয়েছে। মৃত রোগীর বেশিরভাগ আসে সরকারি আইসিইউ থেকে। তবে, সেখানে এসব রোগী যথাযথ নজরদারিতে ছিলেন না।

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। কারণ এসব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। আবার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক নেয়া এবং দোকান থেকে অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে রোগীরা ব্যবহার করেন। আবার মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ অধিক লাভের জন্য পশুর ওজন বাড়াতেও প্রয়োগ করা হয় বলে জানিয়েছে ঐ প্রতিবেদন।

রিট আবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুললে সে অবস্থাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স।এসব কারণে প্রতিবছর বিশ্বে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে এক কোটিতে।

এন্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার মানুষের মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে এই ফাঁদ থেকে মানুষকে রক্ষা করা।

সে ধারাবাহিকতায় আজ থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী দুএকদিনের মধ্যে ডিসি এবং সিভিলসার্জনের কাছে এ নিষেধাজ্ঞা পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন