দুবাই মিউজিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান যাদুঘর। এটি বার দুবাইয়ের আল ফাহিদি ফোর্টে । ১৭৮৭ সালে নির্মিত এই জাদুঘর দুবাইয়ের প্রাচীনতম ভবন। সে সময়ে আল ফাহিদী দুর্গটি বিভিন্ন পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল। ১৭৮৭ সালের কাছাকাছি প্রাচীনতম টাওয়ারটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি আজ দুবাইয়ের সবচেয়ে প্রাচীনতম ভবন বলে মনে করা হয়। এটাকে ঘিরে ইউরোপ আমেরিকা সহ নানাদেশের দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ে। আরব আমিরাতের মানুষেরা তাঁদের আপন ঐতিহ্য রক্ষায় খুব যত্নবান তার প্রমাণ মেলে এসব জাদুঘর দেখলে। এমন ঐতিহ্য সচেতন জাতি বিশ্বে বিরল বলেও মন্তব্য করেন বিশ্বপর্যটকেরা।
১৯৬৯ সালে শেখ হামদান বিন রশিদ আল মাক্তুম জাদুঘরের প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য কুয়েতের রাষ্ট্রদূত শেখ বদর মোহাম্মদ আল সাবাহকে একটি চিঠি পাঠান।
আমিরাতের ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপন তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে দুবাইয়ের শাসক দ্বারা এই জাদুঘরটি খোলা হয়েছিল। দুর্গটির প্রতিটি কোনায় দেখতে পাবেন, আমিরাতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ছাপ । দুর্গ থেকে, গ্যালারিতে একটি পথ রয়েছে, যা বিশেষ করে ১৮০০ দশকের। দেশের সাধারণ সংস্কৃতি কে তুলে ধরে যেমন এটি স্থানীয় ও প্রাচীন অনেক বস্তু এবং সেইসাথে আফ্রিকান ও এশিয়ান দেশগুলির শিল্পকর্ম যারা অনেক আগে থেকেই দুবাইয়ের সাথে ব্যবসা করে আসছে I দুর্গটি ঘুরে দেখলে, আপনি দেখতে পাবেন, আমিরাতের স্বপ্নের শহরে পরিণত হওয়ার গল্প ।
দুবাই জাদুঘরটির মোট এলাকা ৪০০০ বর্গ মিটার। ২০০৭ সালে, দুবাই মিউজিয়াম দৈনিক ১,৮০০ দর্শককে এবং বার্ষিক ৬১১,৮৪০ জন কে স্বাগত জানিয়েছে। ২০০৮ সালের মার্চ মাসে মিউজিয়ামে ৮০,০০০ দর্শক ছিল। জাদুঘরটি দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় সময় আগস্ট থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। যাদুঘরটি ২০১৩ সালে ১ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক পেয়েছে। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত ইতিহাস সন্ধানী নানাভাষাভাষি মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত থাকে জাদুঘর অঙ্গন। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এসব জাদুঘরে শেখার আগ্রহ নিয়ে ঘুরতে থাকে। আরবী জীবনধারার মধুর সব সময় বন্ধি করে রাখা আছে এই জাদুঘরে।
এটা কেবল একটি জাদুঘর নয়, এ যেন ইতিহাসের এক সফল পালক । আজ ও মাথা উঁচু করে আছে আমিরাতের স্বপ্নের শহর দুবাইয়ের বুকে আর বলে চলেছে আমিরাতের সুবর্ণ ইতিহাস ও এক ভিন্ন বিজয়ের কথা।