বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব। অন্যান্য উৎসবে স্বজনদের সাথে প্রবাসীরা যোগ দিতে পারলেও এই ভোট উৎসবে যেন তারা অবহেলিত। এ নিয়ে ৫২ বাংলা টিভির বার্তা সম্পাদক লুৎফুর রহমানের প্রতিবেদন। ক্যামেরায় ছিলেন আমাদের মধ্যপ্রাচ্য আলোকচিত্রি জাবেদ আহমদ।
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে আরব আমিরাতেও চলছে নিজ দলের প্রার্থীর সমর্থনে সভা সমাবেশ। আমিরাতের অনেক প্রবাসীও মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন । কিন্তু দূতাবাসের মাধ্যমে সকল প্রবাসীদের ভোট প্রদানের বিষয়টি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কিছু কিছু উৎসাহি ভোটার এ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে গেলেও প্রায় ৯৯ ভাগের কপালে আর তা জুটছে না।
১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ১৯ বছরেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। বিশ্বের ১৫৭টি দেশে দেড় কোটির উপরে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। বর্তমান কমিশনের এই উদ্যোগে তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অবসান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও তা আর হয়ে ওঠেনি।
মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। স্বাধীনতার এত বছর পরও তারা নিবূাচনের সময় দেশে আসার সুযোগ পান না। যার ফলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যেমন অন্তর্ভুক্ত হয় না, তেমনি তারা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্রের পরিচিতি পত্র না থাকায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এসব প্রবাসী বাঙালিদের ভোটার করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও উদ্যোগে ঘাটতি থাকায় তা আর সামনের দিকে এগোয়নি।
এ তালিকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ার নাম থাকলেও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতার মতো আর কতোকাল গেলে প্রবাসে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে দেশের সিংহভাগ উন্নয়নের যাত্রি এসব প্রবাসীরা।
কণ্ঠ: তিশা সেন