বিয়ানীবাজারে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিনয়েন্দু চক্রবর্তীকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার ব্যানারে মানব বন্ধন প্করতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল হোসেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাবুল ও মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বিয়ানীবজাার উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাবেক সভাপতি দয়াময় কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, বিয়ানীবাজার উপজেলা শ্রমিক লীগে সাধারণ সম্পাদক শাহজানুল ইসলাম লায়েক, বিয়ানীবাজার ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ সিদ্ধ গৌরব দাস, পৌর ঐক্য পরিষদের সম্পাদক মহেশ ঘোষ, পূজা পরিষদের সভাপতি সুজিত চক্রবর্ত্তী, সহ সভাপতি প্রিয় তোষ চক্রবর্ত্তী, শংকর দেব, সাধারণ সম্পাদক অরুনাভ পাল চৌধুরী মোহন, যুগ্ম সম্পাদক সজীব ভট্টাচার্য্য, পূজা পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুজিত দে, ছাত্র যুবক ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্ত্তী, পৌর শাখার সভাপতি অনির্বান চন্দ্র, পৌর যুবলীগ নেতা আয়নুল হক, নিহত বিনয়েন্দু চক্রবর্তীর ছেলে বসুদেব চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষক বিনয়েন্দু চক্রবর্তী কে পেট্রল দিয়ে হত্যার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ অধিকাংশ আসামীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি । পুলিশের মধ্যে আসামী ধরার কোন তৎপরতা ও দেখা যায়নি । বক্তারা বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা না হলে বিয়ানীবাজারবাসীকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর রাতে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক বিনয়েন্দু ভূষন চক্রবর্তীকে নিজ বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল ছুঁড়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিবেশীরা তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে ঢাকার সিটি হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় ৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী শিপ্রা রাণী চক্রবর্তী।
পরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ এলাকার জয় লাল নাথ (২৮) ও একই এলাকার জয়ন্ত লাল নাথ (৩০) কে গ্রেপ্তার করলেও বাকি দুই আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।