নেদারল্যান্ডে সম্প্রতি পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম নেটওয়ার্ক ফাইভ জি চালু করা হয়েছে। দেশটির একটি রেল স্টেশনের পরীক্ষামূলকভাবে এই নেটওয়ার্ক চালু হয়। এর পরেই ঘটতে থাকে অদ্ভুত ঘটনা। ওই রেল স্টেশনের আশেপাশের পার্কে শত শত মৃত পাখি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
শুরুতে এই খবর দেশটির সরকার সুকৌশলে চেপে রেখেছিল। এক সঙ্গে ১৫০ পাখি মারা যাওয়ায় এই খবর আর চেপে রাখা সম্ভব হয়নি। সব মিলে মোট মৃত পাখির পরিমান ২৯৭ টি।
সম্প্রতি এই পার্কের পাশেই একটি রেল স্টেশনে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল। এই সিগনাল কতদুর পৌঁছায় আর পরিবেশে কোন ক্ষতি করে কী না তা জানাই এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল।
যদিও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার অজুহাতে এই পরীক্ষায় পরিবেশকেই বড় মাসুল দিতে হয়েছে।রেল স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে এই নেটওয়ার্ক চালুর পর এই মৃত পাখিগুলি গাছ থেকে পড়তে থাকে। পাশে পুকুরে সাঁতার কাটতে থাকা হাঁসগুলো অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে। পানির নিচে ডুব দিয়ে এই তরঙ্গ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিল হাঁসগুলো।
নেদারল্যান্ডের এক পরিবেশপ্রেমী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এতো পাখি একসঙ্গে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল ইনফেকশনে হঠাৎ মারা যেতে পারে না। ফাইভ জি নেটওয়ার্ক থেকে নির্গত মাইওক্রোওয়েভ পাখির হৃদপিন্ডে আঘাত হানে। এর পরে হৃদ যন্ত্র অকেজ হয়ে মারা গেছে পাখিগুলো।’
যে সময় এই পাখিগুলো মারা গেছে ঠিক সেই সময় পাশের রেলওয়ে স্টেশানে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষার কাজ চলছিল।
ফেসবুকে জন কুয়েলস নামের ওই পরিবেশপ্রেমী আরও বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন কম শক্তির মাইক্রোওয়েভ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারে না। তবে একটি ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করলেই জানতে পারবেন এই তরঙ্গ কতটা ক্ষতিকর।’
দেশটিতে ইতোমধ্যে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার জন্য ইন্টারনেটে মুভমেন্ট শুরু করেছেন পরিবেশপ্রেমী জন। স্টপফাইভজি ডট নেট ওয়েবসাইট থেকে তিনি ফাইভ জি নেটওয়ার্ক থেকে হওয়া সম্ভাব্য ক্ষতি ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করে চলেছেন।