ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মর্গে জায়গা নেই, লাশ রাখা হচ্ছে হাসপাতালের বাথরুমে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০
  • / 1554
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনাভাইরাসে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম অংশের দেশ ইকুয়েডরে। দেশটিতে মানুষের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। শহরের রাস্তায় মিলছে লাশ।

দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম কেন্দ্রস্থল গয়াকিল শহর। সেখানকার একটি হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা সামনে এসেছে। মর্গে মরদেহ রাখার জায়গা নেই। ফলে মরদেহ রাখা হচ্ছে বাথরুমে। এই ভয়াবহ অবস্থার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা।

ওই হাসপাতালের নার্সরা বলেছেন, অনেক মানুষকে বেড দেয়া যায়নি। ফলে অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। হাসপাতালজুড়ে হাহাকার। হাসপাতালের বাইরেও অনেকে মারা গেছেন।

একজন নার্স জানিয়েছেন, দিনে গড়ে ১৫—২০টি মৃতদেহ হাসপাতালের বাথরুমে রাখা হচ্ছে। আরেকজন নার্স জানান, হাসপাতালের প্রতিটি জায়গায় মরদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি ওয়ার্ডেও লাশ ভর্তি।

দেশটির সরকারের বরাতে ওয়ার্ডোমিটারের তথ্য মতে, ইকুয়েডরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৬৫৮ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারের মত। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৪৩৩জন।

ইকুয়েডরের সরকার যে মৃতদেহের সংখ্যা প্রকাশ করেছে তা ভুল হিসাব বলছেন দেশটির নাগরিক ও চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, ইকুয়েডরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এমনকি এপ্রিলের শুরুতেই ইকুয়েডরের গায়াজ প্রদেশে মোট ৬ হাজার ৭০০ মানুষ মারা গেছে। সরকারি হিসাবে অনেক তথ্য গোপন করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মর্গে জায়গা নেই, লাশ রাখা হচ্ছে হাসপাতালের বাথরুমে

আপডেট সময় : ০৫:১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

করোনাভাইরাসে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম অংশের দেশ ইকুয়েডরে। দেশটিতে মানুষের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। শহরের রাস্তায় মিলছে লাশ।

দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম কেন্দ্রস্থল গয়াকিল শহর। সেখানকার একটি হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা সামনে এসেছে। মর্গে মরদেহ রাখার জায়গা নেই। ফলে মরদেহ রাখা হচ্ছে বাথরুমে। এই ভয়াবহ অবস্থার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা।

ওই হাসপাতালের নার্সরা বলেছেন, অনেক মানুষকে বেড দেয়া যায়নি। ফলে অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। হাসপাতালজুড়ে হাহাকার। হাসপাতালের বাইরেও অনেকে মারা গেছেন।

একজন নার্স জানিয়েছেন, দিনে গড়ে ১৫—২০টি মৃতদেহ হাসপাতালের বাথরুমে রাখা হচ্ছে। আরেকজন নার্স জানান, হাসপাতালের প্রতিটি জায়গায় মরদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি ওয়ার্ডেও লাশ ভর্তি।

দেশটির সরকারের বরাতে ওয়ার্ডোমিটারের তথ্য মতে, ইকুয়েডরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৬৫৮ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারের মত। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৪৩৩জন।

ইকুয়েডরের সরকার যে মৃতদেহের সংখ্যা প্রকাশ করেছে তা ভুল হিসাব বলছেন দেশটির নাগরিক ও চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, ইকুয়েডরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এমনকি এপ্রিলের শুরুতেই ইকুয়েডরের গায়াজ প্রদেশে মোট ৬ হাজার ৭০০ মানুষ মারা গেছে। সরকারি হিসাবে অনেক তথ্য গোপন করা হচ্ছে।