রবিবার, ৪ জুন ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করবে- টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন  » «   প্যারিসে জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের প্রত্যাশা- শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত  » «   ফরাসি ভাষা শিক্ষায় ‘বেসিক-ফ্রঁসে বাংলা’ অ্যাপ্লিকেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  » «   গবেষণা এবং শিক্ষাদানের উৎকর্ষতা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপাদান – প্রফেসর মোহাম্মদ মুশফিক উদ্দিন  » «   আনোয়ারুল ইসলাম অভির সিভিক এওয়ার্ড লাভ  » «   ভেজিটেবল অয়েলের পেছনে পাশ্চাত্যের দুর্নীতির ইতিহাস ও আমাদের করণীয়  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই ক্যাম্পেইন: গ্রীনস্ট্রিটে ব্যাপক প্রচারণা  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদে ছুটির দাবীতে পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে  সমাবেশ অনুষ্ঠিত  » «   যুক্তরাজ্যবাসী সাংবাদিক রহমত আলীকে নিয়ে বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবের অশালীন মন্তব্যের ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদের দিনে ছুটি চাই  » «   ঈদের ছুটি- ব্যবসায় লস নয় ব্র্যান্ডিং এর সুযোগ!  » «   দুই প্রেসিডেন্টের কথার লড়াই ও ক্রীড়াঙ্গণের থলের বিড়াল  » «   যুক্তরাজ্যে ঈদে ছুটির দাবীতে  হোয়াইটচ্যাপেলে সমাবেশ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার  » «   পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

যুক্তরাজ্যে ঈদের দিনে ছুটি চাই



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বছর ঘুরে খুশি ও আনন্দের  বার্তা নিয়ে ফিরে আসে ঈদ। ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি  শ্রেষ্ঠ  ধর্মীয় উৎসব। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রতিটি মুসলমান ঘরে ঈদ উৎসব পালিত হয় আনন্দ নিয়ে। আরবি শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর এবং আরবি জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে ঈদুল আযহা- গোটা বিশ্বে মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা পালন করেন।

ধর্মীয় বিধান অনুসারে, মুসলমানরা  প্রতি বছর এক মাস রোজা রাখেন এবং পবিত্র কোরআন ও হাদিস মতে- এই রমজান মাস সবচেয়ে উত্তম মাস। পুরো মাস রোজা রেখে শাওয়ালের এক তারিখে কাঙ্ক্ষিত ঈদুল ফিতর আসে মহা সমারোহে। আনন্দ -উল্লাসে খুশির বার্তা নিয়ে ধনী-গরীব ভেদাভেদহীন এক অনন্য  অনুভূতিত নিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণ  এই রোজার মাসের শেষের ৪/৫ দিন  মুসলমানরা কেনা- কাটায় ব্যস্ত থাকেন ঈদের দিনটি সর্বোচ্চ আনন্দময় করার জন্য। পরিবারের সকলের জন্য  নতুন কাপড় সহ নানা পদের খাবার ইত্যাদি তৈরীতে সকলে মূলত একরকম আনন্দ খুজে বেড়ান।

ঠিক তেমনি আরবি জিলহ্জ্জ মাসের দশ তারিখে ঈদুল আযহায় মুসলমানদের মনে কাজ করে  ত্যাগ ও আনন্দের অনুভূতি। এই দিনে মুসলমানরাস প্রিয় পশুকে কোরবানি দেয় আল্লাহ তায়ালার হুকুমে।

মুসলমানরা বিশ্বের যে দেশেই বাস করেন-ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করে তারা ঈদ পালন করেন।  ২০২১ সালের আদমশুমারি তথ্য  অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার  শতকরা ৬.৫ ভাগ এবং  সর্বমোট ৩.৯ মিলিয়ন মুসলমান  বাস করেন। যুক্তরাজ্যে এই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান বসবাস করলেও  দুই ঈদের দিনে কাজে থাকা মানুষের জন্য ঈদের দিনে  ছুটি নেই। বিশেষ করে মুসলমান মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন রেস্টুরেন্ট,  গ্রোসারি , কাপড়ের দোকান সহ অনেক প্রতিষ্ঠান ঈদের  দিন মুসলমান স্টাফদের ছুটি দেয়া হয়না। কিছু প্রতিষ্ঠান  ঈদের  নামাজ  আদায়ের সুবিধার্থে সকাল বেলা কিছু সময়ের জন বন্ধ রাখেন।

খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে সরকারি ছুটি থাকে । মুসলমানরা  ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস, রেষ্টুরেন্ট সব কিছু বন্ধ রাখি। কিন্তু আমাদের ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোতে কেন বন্ধ রাখি না?  রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা চাইলে ঈদের দিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস ক্যাটারার্স এসোশিয়েশনের নেতৃবৃন্দ    মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি-নীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে যদি  এক যোগে  ঘোষণা করেন যে, শাওয়াল মাসের এক তারিখ- সপ্তাহের  যেদিন  হোক না কেন, সম্মিলিতভাবে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখবো। তাহলে তা কার্যকর করা সম্ভব হবে।

আমরা বিশ্বাস করি- এতে  কাষ্টমারদেরও অসুবিধা হবে না এবং পরবর্তি দিন ‘ঈদ ফেস্ট’ হিসাবে তারা   একই রেষ্টুরেন্টে  খাবার খেতে উৎসাহ বোধ করবে।

বাংলাদেশি মালিকাধীন কাপড়,  গ্রোসারি, ফলমূল  ইত্যাদি দোকানে দুই ঈদের আগে মূলত বেশি বেচা কেনা হয়। ঈদের দিনে মালিক ছুটি নিয়ে স্টাফদের দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালান। যদিও কেনা-বেচা তেমন হয়না বলেই সবাই বলে থাকেন।  বছরে দুটি দিন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখলে মোটাদাগে ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই।

এই বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো মূখ্য ভূমিকা রাখা জরুরী বলে মনে করি।  যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই-ক্যাম্পেইনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসলে এটি বাস্তবায়নে  কমিউনিটিতে একটি  পজিটিভ বার্তা পৌছবে এবং সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসবেন।

যুক্তরাজ্যে  অনেক প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল  বর্তমান সময়ে ঈদের দিনে ঐচ্ছিক অথবা স্টাফ ট্রেনিং উল্লেখ করে  স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীদের ঈদের আনন্দ উপভোগ সুযোগ করে দিচ্ছে।  ব্রিটেনের মূলধারার প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি পেলেও আমাদের মালিকাধীন বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্র থেকেই স্টাফদের ছুটি দেয়া হয় না। যার ফলে ঈদের দিনে আমাদেরকে কাজে ছুটে যেতে হয়। এতে হাজার হাজার স্টাফ, তার পরিবার ও স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত  হচ্ছেন। এই অসাম্য দূর করে, ঈদের ছুটির  ন্যায্য দাবীকে বাস্তবায়ন করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

আমি রেস্টুরেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে নিজে ছুটি নিয়ে পরিবার-পরিজনদের সাথে আনন্দ করবো। অন্যদিকে আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করার অমানবিক , অনৈতিক,পাপের কাজ থেকে সকলের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সরে আসা সময়ের দাবি।

আমরা সকলে মিলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চাই। যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি বাস্তবায়ন হোক।

আবু রহমান , সাংবাদিক ও সংগঠক

লন্ডন, ১২ এপ্রিল লন্ডন


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন