বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই‘র ইন্তেকাল  » «   ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিয়ানীবাজারে পথচারী ও রোগীদের মধ্যে ইফতার উপহার  » «   ইস্টহ্যান্ডসের রামাদান ফুড প্যাক ডেলিভারী সম্পন্ন  » «   বিসিএ রেস্টুরেন্ট কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এনএইচএস এর ‘টকিং থেরাপিস’ সার্ভিস ক্যাম্পেইন করবে  » «   গ্রেটার বড়লেখা এসোশিয়েশন ইউকে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করবে  » «   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

রাঙ্গাবালীতে তরমুজ চাষীদের কারও মুখে হাঁসি, কারও মলিন
৩০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা তরমুজের নগরী হিসেবে পরিচিত। তরমুজ একটি সুস্বাদু ফল, গরম যত বেশি তরমুজের চাহিদাও তত বেশি। এই রাঙ্গাবালীর রাঙ্গা তরমুজের সুনাম রয়েছে সারাদেশে। কিন্তু এই তরমুজ আবাদ করে এবার কারও মুখে হাঁসি ফুটেছে। আবার কারও মুখ হয়েছে মলিন। তরমুজ চাষীরা বলছেন, যারা এবছর আগাম তরমুজ চাষ করেছেন, ফলনও ভালো হয়েছে। তারা লাভবান হয়েছেন। কিন্তু বেড়িবাঁধের ভেতরে যারা তরমুজ আবাদ করেছেন, তাদের প্রায় চাষীই খেত রোগাক্রান্ত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু বাঁধের বাহিরে পলি জমা চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে যারা তরমুজ আবাদ করেছেন, তাদের প্রায় চাষী লাভবান হয়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। তবে গতবছর পাতা কুকড়ে, গাছ মরে অজানা রোগে তরমুজ খেত আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ বছর ১ হাজার ১৮৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ কম হয়েছে। তবে ফলন উৎপাদন ভাল হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৩০ মেট্রিকটণ ফল উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছেন, কোন প্রতিকূলতা না থাকলে ৩০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন তারা।

দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিত ‘রাঙ্গাবালী’। তরমুজের বাড়িখ্যাত পটুয়াখালী জেলার এই দ্বীপ উপজেলার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী। তাই এখানকার তরমুজের গুণগতমান ভাল হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। চাহিদার পাশাপাশি লাভজনক ফল হওয়ায় নতুন নতুন চাষীও বাড়ছে এখানে।

গতবছর থেকে এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ায় এ বছর থেকে চরাঞ্চলের ফেলে রাখা নতুন নতুন জমিতে তরমুজ আবাদ শুরু করেছেন চাষীরা। এর ফলে ভাল ফলনও পেয়েছেন তারা। উপজেলার কাউখালী চর, হরিদ্রাখারী চর, চরনজির, চর ইমারশন, চরহেয়ার, চর তোজাম্মেল, লতারচরসহ বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছেÑবিস্তীর্ণ খেতজুড়ে তরমুজের সমারোহ। লতায় মোড়ানো সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে তরমুজ। যতদূর চোখ যায় শুধু তরমুজ আর তরমুজ। এই তরমুজ নিয়েই এখন চাষীদের স্বপ্ন আর ব্যস্ততা। কেউ পরিচর্যায় ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত পাকা ফল কাটায়। কেউ আবার পরিবহনে করে বাজারজাতে ব্যস্ত।

উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালীর গ্রামের তরমুজ চাষী আবুল কালাম (৫৫)। তিনি বলেন, ‘চরের অনাবাদি জমিতে তরমুজ চাষ করে প্রায় চাষীই এবার লাভবান হয়েছে। এতে বেড়েছে চরের জমির দামও।’ আগামী বছর চরে তরমুজ আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করেন এই তরমুজ চাষী।

তরমুজ চাষীরা জানান, বেড়িবাঁধের ভেতরে ২০ বছর ধরে একই জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন, তাদের প্রায় চাষীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের আমলিবাড়ীয়া গ্রামের তরমুজ চাষী শওকত আলী  বলেন, ‘বাঁধের ভেতরের চাষীরা এবার শ্যাষ। গতবছর এসব এলাকায় তরমুজ আর তরমুজ ছিল। কিন্তু সেসব খেত এ বছর ফাঁকা। ভাইরাসে সব নিয়ে গেছে।’

এদিকে বাঁধের বাহিরে পলি জমা চরাঞ্চলের নতুন নতুন জমিতে যারা তরমুজ চাষ করেছেন, তারা প্রত্যেকেই লাভবান হয়েছেন; বলছেন তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তরমুজ কিনতে আসা পাইকার রফিক উদ্দিন বলেন, ‘রাঙ্গাবালীর চরাঞ্চলে এবার তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে। আমি প্রতিবছর এখান থেকে তরমুজ পাইকারিতে ক্রয় করে ঢাকাতে নিয়ে বিক্রি করি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৭৫  ভাগ খেতের তরমুজ বাজারজাত করা হয়েছে। বৃষ্টিবর্ষা কোন প্রতিকূলতা না থাকলে ৩০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।’ বেড়িবাঁধের ভেতরের জমিতে তরমুজ আবাদে রোগবালাইয়ের আক্রমণ বেড়েছে কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের প্রতি আমাদের পরামর্শ জমিতে জৈব সারের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। এক বা দুই বছর তরমুজ আবাদ বিতরতিতে শষ্য পর্যায় হিসেবে লিগম (ডাল জাতীয়) ফসলের আবাদ করা প্রয়োজন। এতে নাইট্রোজেন মাটিতে সংরক্ষণ করে এবং জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। এছাড়া অগ্রাহণ মাসের শুরুতে তরমুজ বীজ বপন করলে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে।’


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন