ব্রিটেনে ঈদের ছুটি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন হচ্ছে। যদিও সরকারী ভাবে দিনটি ছুটির দিন নয় তবে প্রতিটি বিভাগেই এই দিনে মুসলমান কর্মচারীবৃন্দ ছুটি নিতে পারেন। প্রায় প্রতিটি বিভাগে বেতন সহ আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বেতন ছাড়া। স্কুল কলেজ গুলোতে বেতন সহ তবে তা বছরের শুরুতেই বুক করে রাখতে হয়।
তবে সমস্যা হলো বাংলাদেশী সম্প্রদায়কে নিয়ে। এদের বেশীর ভাগই কাজ করেন কারী ইন্ডাস্ট্রিতে। তারা ঈদে ছুটি পান না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা ঈদের নামাজের জন্য টাইম অফ পান, অর্থাৎ নামাজ পড়েই কাজে যেতে হয়।ঈদ হলো খুশীর দিন কিন্তু এরা সেই খুশী থেকে বঞ্চিত হোন।
কিন্তু এই ব্যবসায়ীদের প্রায় ৯৯ ভাগই মুসলমান। এরা দেশে মসজিদ মাদ্রাসা তৈরী করেন। এদেশের বাংলা টিভি তে হুজুরগণ যখন ওয়াজ নসিহত করেন তখন এরা দেদারসে টাকা দেন। কিন্তু তার মুসলিম কর্মচারী কে ঈদের খুশীতে শরিক করতে রাজি নন। ঈদের দিনে ব্যবসায় ছাড় দিতে তারা বুকের হিম্মত রাখেন না।
এখানে দেখা যায় প্রতিটি কর্মচারীরা ঈদের ছুটি চান আবার এরাই যখন মালিকের কাতারে যোগ দেন তখন ছুটি দিতে রাজী হোন না।
বছরভর ব্যবসা করেও একটি দিনের ব্যবসার লোভ তারা ছাড়তে পারেন না। নিজেরা যখন নিজেদের ধর্মের প্রতি এই নূন্যতম শ্রদ্ধা রাখতে ব্যর্থ হয়ে অন্যদের কাছ থেকে দাবী আদায়ের ডাক দেন তখন সে ডাকে সাড়া পাওয়ার কোন আশা থাকে না।আসুন ঈদ মুসলমান দের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মুসলমানদের প্রমাণ করার সময় হয়েছে ।ধর্ম শুধু প্রচার করার বিষয় নয় । আপনার ধর্ম আপনার ব্যবহারে, আচারে, আচরণে প্রকাশ পাবে।
রেণু লুৎফা : শিক্ষাবিদ ও লেখক, লন্ডন।