কোন যুদ্ধের দামামা ছাড়াই বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত সাদা-কালো, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কোন জাত ধর্মের যাচাই বাছাই ছাড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেবলই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনা নামক এক ভাইরাস আধুনিক পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চীনের উহান প্রদেশ থেকে আরম্ভ করে ইটালী, স্পেন, ফ্রান্স, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর ১৯৮টি দেশের দশ লাখেরও অধিক মানুষকে আক্রান্ত করেছে। এ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে পঞ্চাশ হাজারের অধিক প্রাণ (এই লেখা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত)। প্রতিঘন্টায় বাড়ছে এ সংখ্যা। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ইউরোপের পর্যটন নগরী পর্তুগাল ।
পর্তুগাল সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এর তথ্যমতে এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯৮৮৬ জন মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের।২৪০ জন রোগীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পর্তুগিজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএস)।করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশী।এ নিয়ে কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরার তালিকায় এখন পর্যন্ত ৬৮জনই। সেই সাথে ৪৯৫৮ জন সন্দেহভাজনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে তাদের ব্যপারে, তবে এই মুহূর্তে সারা দেশে ৬৬৮৯৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানায় পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএস)।
এদিকে পর্তুগালের লিসবনে বসবাসরত ৮ প্রবাসী বাংলাদেশির রক্ত পরীক্ষার পর বৃহঃবার স্হানীয় সময় বিকেলে ৫ জনের কভিড-১৯ পজিটিভ এমনটি নিশ্চিত করেন লিসবনের স্হানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে বাকি ৩ জনের রক্তের কনিকা এখনো পরীক্ষাধীন রয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে প্রকাশ করা হতে পারে তাদের ব্যপারে।
বর্তমানে আক্রান্তদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পর্তুগাল সরকার দেশের মানুষকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছেন। পর্তুগাল সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিদিন স্বাস্থ্যসচেতনতার জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন উপদেশ দিচ্ছেন।