বেশ কিছু দিন ধরে রেষ্টুরেন্টের জীবন যাপন নিয়ে ‘রেষ্টুরেন্টের ভেতরের গল্প’ নামে সত্য ঘটনা লিখে,ফেইসবুকে পোস্ট করে আসছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমার প্রায় দুই হাজারের মতো ফ্রেন্ড। এদের মাঝে এক শতাংশও আমার লেখা পড়েন বলে মনে হয় না। পড়লে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে পারতাম।তারা আমার সাথে একমত পোষণ করতেন। কেননা আমি যা লিখেছি বা লিখছি সেসব আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই লিখছি।
আমার চোখের সামনে যা ঘটছে,আমার সাথে যা ঘটছে-এসবই আমি হুবহু তুলে ধরছি। আমরা,যারা রেষ্টুরেন্ট কর্মী,আমাদের সাথে গাভনারদের আচরণ,আমাদের প্রতি গাভনারদের মনোভাব,কোন পর্যায়ের হয়ে থাকে-সেটিই আমি সকলের কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে চাচ্ছি।
দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের রেষ্টুরেন্ট জীবন -যাপনের অভিজ্ঞতা আমার। শুরু থেকেই যা দেখে আসছি,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে যা শোনে আসছি,তাতে বারো হাজার ইন্ডিয়ান,বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের ছত্রিশ হাজার (একটি রেস্টুরেন্টে গড়ে তিনজন গাভনার হিসাবে ধরেছি )গাভনার- আমাদের বাহাত্তর হাজার (একটি রেস্টুরেন্টে গড়ে ছয়জন স্টাফ হিসাবে ) কর্মীদের সাথে,যে ধরণের আচরণ করে আসছেন,আমাদের উপর তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়ম- কানুন আরোপ করে আসছেন,যে ধরণের অবহেলা প্রদর্শন করে আসছেন,তার যতোটুকু আমার দ্বারা সম্ভব-লিখে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
জানিনা কতোটুকু আমার লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারছি! তবে আমি আশাবাদী,সামনে এমন দিন আসবে,যখন আমরা রেস্টুরেন্ট কর্মীরা সংঘবদ্ধ হতে পারবো, তখন আমাদের সাথে গাভনারদের করা অবহেলা,অপমানের প্রতিবাদি হয়ে,আমাদের প্রাপ্য আদায় করে নেবো। আমরা আর সব ন্যায্য অধিকারের সাথে,রোজারর মাসে ইফতারির জন্য দশ মিনিটের জন্য হলেও ব্রেক পাবো।পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনের জন্য আমরা সবাই ছুটি পাবো।
সাইফউদ্দিন আহমেদ বাবর: কবি, লেখক, লন্ডন।