যিনি নিজ ভূমি ছেড়ে অথবা আশ্রয়ের সন্ধানে অন্য দেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করতে বাধ্য হন যিনি, তিনিই শরনার্থী। জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রতা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শগত সংঘাত প্রভৃতি কারনেই প্রতিবছর বাড়ছে শরনার্থীদের দীর্ঘ লাইন সারা বিশ্বে।
শরনার্থীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শরনার্থী দিবস হিসেবে পালন করার অনুমোদন লাভ করে। এবং সেই অনুমোদনের পর ২০০১ সাল থেকেই জুন মাসের প্রতি ২০ তারিখ এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।ইতিপূর্বে ২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিলো।শরণার্থীদের অমানবিক জীবনাচার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক দৃষ্ঠি কাড়তে প্রতি বছর ২০ জুন বিশ্বজুড়ে এ দিনটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শরণার্থী সংকট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে ২০০০ ফুট দীর্ঘ বিশাল প্রতীকী চিত্র এঁকেছেন চিত্রশিল্পী গিয়োম লোগ্রোসে সায়ফ । বিস্ময়কর এ গ্রাফিতিটি প্যারিসের চ্যাম্পস দে মারস এ ঘাসের ওপর চক, কাঠ কয়লা ও রং দিয়ে বিশেষভাবে আঁকা। এ চিএটি আইফেল টাওয়ারের ওপর থেকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।
শনিবার প্যারিসের মেয়র আনা হিদালগো এই বিশাল চিত্রশিল্পের উদ্বোধন করেন ।
চিত্রে দেখানো হ্যান্ডশেকটি ভূমধ্যসাগরে অসহায় ও বিপন্ন শরণার্থীদের উদ্ধারের প্রতীক এবং ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপগামী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দেশগুলোর সরকার ও অভিবাসী বিরোধী কট্টরপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীকী চিত্র ।
উল্লেখ্য যে,আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত বা নিপীড়নের কারণে ৬ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী কিংবা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যূত।এই সংখ্যা বিশ্বের ২০তম বৃহৎ দেশের জনসংখ্যার সমান।পরিসংক্যান বলছে,গত বছর প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন করে বাস্তুচ্যূত হয়েছে।এদের অধিকাংশই অধিকাংশই দরিদ্রতম দেশগুলোয়।