জয়-পরাজয় যা-ই হোক ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সারা ব্রিটেনে টাইগার সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ¡াসের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিল। জয় দিয়ে উড়ন্ত সূচনার পর দুই ম্যাচে পরাজয় এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সে উচ্ছাসে কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। তবে গতকাল সামারসেটের টনটন বাংলাদেশি সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। এমনিতেই ওভাল থেকে শুরু করে কার্ডিফ, বৃস্টল, সবখানেই বাংলাদেশি দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিন দেশের দর্শক এমনকি আইসিসিও বাংলাদেশি দর্শকদের প্রশংসা করছে।
পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। তারপরেও হাল ছাড়ছেন না টাইগার সমর্থকরা। ছুটি নিয়ে শহর থেকে শহরে ছুটে যাচ্ছেন খেলা দেখতে। এ ছুটে চলার পেছনে যতটুকু না খেলা দেখার স্পৃহা থাকে, তার চেয়ে আবেগটাই বেশি কাজ করে। মাঠে প্রিয় দলকে সাপোর্ট দেয়া, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে চিৎকার করে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করাই যেন তাদের প্রধান কাজ। গতকালও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে বাস-কোচ কিংবা ব্যক্তিগত পরিবহন টনটন স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছে। চিরাচরিত বাংলাদেশের টি-শার্ট, লাল সবুজের পতাকা কিংবা বাঘের কস্টিউম পরে বাংলা আর বাঙালির স্বাতন্ত্রতা নিয়েই জানান দিয়েছে টাইগার সমর্থকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের একেকটা ক্যাচে উল্লাসে ফেটে পড়ে টনটনের গ্যালারি। তাদের একেকটা উইকেট পড়া মানে গ্যালারিতে যেন বাঘের গর্জন। গ্যালারির দৃশ্য জানান দিয়েছে টাইগার সমর্থকরা উচ্ছাস ফিরে পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২২ রান নেয়ার পরও দর্শকরা ঘাবড়ে যায়নি। বাংলাদেশি দলের লড়াই নতুন প্রেরণা দিয়েছে গ্যালারিকে, নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছে টাইগার সমর্থকরা।
গতকালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশের খেলায়ও সংখ্যাগরিষ্ট দর্শক বাংলাদেশিই ছিল। মোট দর্শকদের ৬৫ শতাংশ। টনটনের স্টেডিয়ামের বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় সামারসেটের অনেক স্কুলের ছাত্রছাত্রী এসেছিল খেলা দেখতে। এসেছিলেন তাদের শিক্ষকরাও। তাদের অনেকেই বাংলাদেশিদের চিৎকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন। বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে সমর্থন জুগিয়েছেন। উৎফুল্ল ছিলেন তারাও।