শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

আগামী মাসেই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

দীর্ঘ অপেক্ষার পর আগামী মাসেই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে ১ জুলাই থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন নেয়া হবে। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে সময় ও ভোগান্তি কমবে আর ডিজিটাল দেশ গড়ার পথে একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

তথ্যমতে, আধুনিক বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বর্তমানে ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় ই-পাসপোর্ট চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বাস্তবায়ন ব্যয় ধরে ২০১৭ সালে ই-পাসপোর্ট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জেএমবিএইচের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বলা হয়েছিল, ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু হবে। এরপর বলা হয়, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালু হবে। সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে চলতি মাসের ৩০ জুনের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে চলতি মাসেই ই-পাসপোর্টের সব প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগামী মাস থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটা বেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে পাঁচ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হলেও এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হবে না। তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, আগামী জুলাই থেকে যাতে নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। ফি নির্ধারণ কমিটি ৪৮ পাতার সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য সাড়ে তিন হাজার (২১ দিন), জরুরি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা (সাত দিন) ও অতি জরুরি সাড়ে সাত হাজার (এক দিন) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছরের সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৫ হাজার টাকা, জরুরি ৭ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি ৯ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট প্রকল্প ৩ কোটি পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। পরবর্তী সময়ে ওই কারখানাতেই পাসপোর্ট ছাপা হবে। বর্তমানের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকছে না। সেখানে থাকবে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রসঙ্গত, অত্যাধুনিক বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ই-পাসপোর্টে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এই চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। আর ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে পিকেডিতে (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি)। আন্তর্জাতিক এই তথ্যভাণ্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভাণ্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারবে। এর ফলে পাসপোর্ট নিয়ে জালিয়াতি কঠিন হবে। সে সুবাদে জনভোগান্তি কমবে।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন