সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশ সমিতির শারজাহ শাখা অবশেষে ঠিকানা পেলো। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরব আমিরাত সফরে আসেন। তখন আরব আমিরাতের জাতির পিতা শেখ যায়েদ বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন কী চান আপনি? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন -‘সারাদিন কাজের শেষে আমার মানুষেরা নিজেদের সংস্কৃতি চর্চা করবে। নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদান করবে। এতে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়বে। তাই এ জন্য একটি প্রতিষ্ঠান দিন।’ সেই থেকে শেখ যায়েদ বাংলাদেশ সমিতি উপহার দেন। তাই প্রতিবছর বিনামূল্যে বাংলাদেশ সমিতির লাইসেন্স নবায়ন করা যায়। আমিরাত সরকার অনুমোদিত একমাত্র বাংলাদেশি সামাজিক এ সংগঠনের আবুধাবী, শারজাহ, ফুজাইরাহতে শাখা রয়েছে।
বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ শাখা সকল কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামি সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক যাত্রা করতে যাচ্ছে। শারজাহের আল গোবাইবা এলাকায় নিজস্ব অফিসের সকল ধরণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষের পথে জানালেন সংগঠনের সভাপতি আবুল বাশার। সহ সভাপতি ইসমাইল গণি, সাধারণ সম্পাদক শাহ মাকসুদ এবং কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সহ সংগঠনের সকল কর্মকর্তাদের কার্যালয় গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশি এ সংগঠন ঠিকানা পেতে যাচ্ছে বলে সংগঠনের কর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য এবং কমিউনিটির মানুষের চোখে মুখে আশার আলো লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ শাখার জন্য নেয়া ভিলাটির আশপাশে নার্সারি স্কুল এবং আবাসিক ভবন রয়েছে। মনোরম পরিবেশে বাংলাদেশ সমিতির এই ভিলার হলরুমে উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশি কমিউনিটির সভা, অনুষ্ঠান করার সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশ কমিউনিটি উন্নয়নে এ সমিতির কনফারেন্স হল ভূমিকা রাখবে বলে কমিউনিটির জৈষ্ঠজনদের ধারণা। ছোঠখাটো কোন সভা সেমিনার করতেও রেস্তোরা নির্ভর উত্তর আমিরাতে চলতো বাংলা ও বাংলাদেশ চর্চা। সেখানে খরচের সাথে সাথে স্বাচ্ছন্দের পরিবেশের অভাব লক্ষণীয় ছিলো। এবার সমিতির এ হলে বাংলাদেশ কমিউনিটির অনুষ্ঠানাদি করার জন্য নামমাত্র ফিতে সে সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ সমিতি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি আরো এগিয়ে যাবে। আগে বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ শাখার অফিস থাকলেও তার স্থায়িত্ব ছিলো না এবারে এমন কোন কিছু দেখতে চান না সচেতন বাংলাদেশি প্রবাসিরা।