ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে হার মেনে নিলেন বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। নির্বাচনী ফলাফল পরবর্তী দলীয় অবস্থান জানাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ হার মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। কংগ্রেসের এই সভাপতি বলেন, এটা জনগণের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, জনগণ পরিষ্কারভাবে তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, জনতাই মালিক।
গতবারের নির্বাচনের (২০১৪ সালের) চেয়ে এবার বিধ্বংসী রূপে জয়ী হতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি। দেশটির জাতীয় এই নির্বাচনে তিন শতাধিক আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী এই রাজনৈতিক দল।
৫৪২ আসনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৪২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পেয়েছে ৯১ আসন। বিজেপি একাই ৩০০’র বেশি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২ আসনে জয় পেয়েছিল, জোটসঙ্গীদের নিয়ে দলটির আসন দাঁড়িয়েছিল ৩৩৬।
গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকার গঠন করছে। বিজেপির বিশাল ব্যবধানের এই জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি টুইট করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, আবারও ভারত জিতেছে।
ভূমিধস এই জয়ের পর টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা একসঙ্গে লড়বো। একসঙ্গে সমৃদ্ধ হবো। আমরা একত্রে শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত গড়বো। ভারত আবারও জয়ী হয়েছে। বিজয় ভারত।
ভারতের এবারের এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই ক্ষমতাসীন বিজেপি তিন শতাধিক আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে বলে বুথ ফেরত জরিপে আভাস দেয়া হয়। দেশটির কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর নেতৃত্বদানকারী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জোট প্রথম ছয় দফার ৪৮৩ আসনের মধ্যে ২৯২ থেকে ৩১২টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে জানানো হয়।
এদিকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক টেলিগ্রাম বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টেলিফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চিরবৈরী প্রতিবেশী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এক শুভেচ্ছা বার্তায় মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।