আমরা যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিংবা যুদ্ধজয়ের পর যাদের জন্ম , তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর হীরন্ময় ইতিহাস পাঠে ও অনুভবে ভিন্নমাত্রা থাকতেই পারে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধারণ করে আমাদের দেশটাকে দেখার মাঝে কোন পার্থক্য বা কমতি নেই।
লাল-সবুজের দেশটাকে সামনে রেখে বোধের আলোয় দেখলে চোখে ভাসে অনেক কঠিন সত্য। পাওয়া কিংবা না পাওয়ার মিল-অমিল। ইতিহাসের অনেক সত্য-মিথ্যা, মুক্তি-সংগ্রামে ত্যাগ আর দূ:খগাথার চিত্রকল্প।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে দুই লাখ মা -বোনের আত্নত্যাগ ইতিহাসের পাতায় গৌরবের হলেও সমাজ বাস্তবতায় তার প্রতিফলন এখনও যে উল্টো পথে অনেকাংশে তা অস্বীকারের উপায় নেই।
যুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস গবেষকদের কাছে ইউরোপে একটি কথা মোটাদাগে উচ্চারিত আছে- পৃথিবীর সকল জেনোসাইড এবং স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস রচিত হয় সে দেশের যুদ্ধ পরবর্তি প্রজন্মদের হাত ধরে।
আশার কথা হলো, প্রবাস থেকেও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এর বহমান ইতিহাস নিয়ে গবেষণা সহ নানাভাবে কাজ করছেন স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্ম। বহুভাষা ও সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত লন্ডনে বীরাঙ্গনা বা বীরমা’দের নিয়ে সৃজনশীল উপস্থাপনা ব্রিটিশ-বাংলাদেশী প্রজন্মদের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছে ব্রিটেনে বাসকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মরা।
বীর জননীদের কথা ৭১, পর্বে থাকছে এসব নিয়ে কিছু তথ্যচিত্র-
বীর জননীদের কথা ৭১: ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী