সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনসুলেট আয়োজিত বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ বিষয়ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। তিনি প্রবাসীদের নানা দাবির প্রেক্ষিতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান।
আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন কনসুলেটের দূতালয় প্রধান প্রবাস লামারাং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম।
সভায় বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে সবচে বড়ো অন্তরায় টাকা পাঠানোর চার্জ। সেই চার্জ মওকুফ করতে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এ চার্জ মওকুফ করতে প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে। খুব দ্রুত এটা কার্যকর করা হবে।
সভায় প্রবাসী শ্রমিকদের লাইফ ইনসুরেন্স, বিমানে লাশ বহন, জনতা ব্যাংকের বুথ দ্রুত স্থাপন এবং প্রবাসীদের বণ্ড খুলে দেয়ার দাবি জানান প্রবাসীরা। এ সময় জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জানান, ২৬ মার্চের আগে আরব আমিরাতে ৮টি বুথ স্থাপন করা হবে।
ছোট ফ্লাইট হওয়াতে বিমানে লাশ বহনে সমস্যা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর হজ্বের ফ্লাইটে বড়ো ফ্লাইট দেয়াতে ছোট ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্যে দেয়ার পর থেকে এ সমস্যা চলছে। তবে এ ব্যাপারে বড়ো ফ্লাইট দিতেও প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রবাসে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সরকার ইতোমধ্যে কাজ করছে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন ইতোমধ্যে ৩০ হাজার ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সবক্ষেত্রে এ উদ্যোগ ক্রমান্বয়ে নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধে সরকার মধ্যপ্রাচ্যের সবদেশে সেফহোম খুলছে বলেও তিনি জানান। সৌদি আরবের রিয়াদ এবং জেদ্দায় তা স্থাপন করা হয়েছে। আরব আমিরাতেও করা হবে বলে জানান তিনি।
দেশে রেমিটেন্সে প্রেরণে দ্বিতীয় সারিতে আছে আরব আমিরাত। বিগত ৭ বছর ধরে ভিসা বন্ধ আছে এখানে। আগামি ১৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সফরে ভিসার কিছু একটা হবে বলে আশা রাখছেন এখানকার ১০ লাখ বাংলাদেশি।