নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। দীর্ঘ দশ বছর পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাতার প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসীরা দেশের নির্বাচন পরিস্থিতিকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রবাসীরা কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। কাতারে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশী আছেন। যাদের প্রায় সকলেরই দেশে নিজের ভোট আছে, অধিকাংশের দেশে স্ত্রী ভোটার, পরিবারের সদস্যদের ভোট রয়েছে।
কাতারের পথে-ঘাটে ঘুরে তাদের মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তাদের সবাইকে তিনটি প্রশ্ন করেছিলাম। দেশে পরিবারের ভোট কোন প্রতীকে দিতে বলবেন? এই প্রতীক আপনার পছন্দ কেন? সরকার যারা গঠন করবেন তাদের কাছে আপনার দাবি বা প্রত্যাশা কি?
কাতার প্রবাসী আলী আহমদ সুন্দর সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা, একটি গাড়ির শোরুমে কাজ করেন। তিনি জানান, দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে বলবেন। তার পূর্ব পুরুষরা নৌকায় ভোট দিতেন। তিনিও নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলবেন। দেশ সুন্দরভাবে চলবে নতুন সরকারের কাছে এটিই প্রত্যাশা।
কাতার প্রবাসী চট্রগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, মার্চেন্ডাইজিং এর কাজ করেন। তিনি জানান, তিনি ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য বলবেন। তার দাবি, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অন্যায় অত্যাচার বেড়ে গেছে, এটা দূর করতে ক্ষমতার পরিবর্তন দরকার মনে করেন তিনি। নতুন সরকার দেশকে সুশৃঙ্খলভাবে চালাবে তার দাবি।
কাতার প্রবাসী সালেহ আহমদ সুয়েব সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা, একটি রেডিও অফিসে কাজ করেন। তিনি জানান, উন্নত দেশ গঠনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার কথা বলবেন। এই সরকার দেশের বহু উন্নয়ন করেছে যা অতীতে কেউ করেনি। একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলবেন এটাই তিনি প্রত্যাশা করেন।
কাতার প্রবাসী জায়েদ আহমদ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বাসিন্দা, একটি মার্কেটে বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করেন। তিনি জানান, তিনি ধানের শীষে ভোট দেয়াবেন। এতে করে সাধারণ মানুষের উপর থেকে অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হবে। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, ঘুম খুন বন্ধ করার দাবি জানিছেন তিনি।