মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
কাতারের আকাশসীমা বন্ধ, বাংলাদেশ দুই ফ্লাইট যেভাবে রক্ষা পেল  » «   ‘শেষ খেলা’ খেলছে ইরান-ইসরায়েল  » «   ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও পাল্টাপাল্টি হামলা, ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করলে থামবে ইরান  » «   নজিরবিহীন লগ্নে বিশ্ব, সেটাও ছাপিয়ে যেতে পারে  » «   বাংলাদেশ যেন এক ‘মবের মুল্লুক’  » «   এক ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ ভ্রমণ করা যাবে  » «   প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ  » «   রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চায় অদ্ভুত নামের ১৪৭ দল  » «   কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরাকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা  » «   পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে সতর্কতা  » «   ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার যে সব তথ্য জানালো যুক্তরাষ্ট্র  » «   ইরান কি সত্যিই পরমাণু বোমা বানানোর দ্বারপ্রাপ্তে ছিল?  » «   হরমুজ প্রণালী আদৌ বন্ধ করতে পারবে ইরান?  » «   হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি ‘ভয়াবহ ভুল’ হবে  » «   ইরানে ট্রাম্প বিশাল জুয়া খেলছেন  » «  

জামাত নিয়ে সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে বিএনপি’র মাথাব্যথা



জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হলেও কার্যত তাদের কার্যক্রম সারা দেশেই দৃশ্যমান।আগের মতোই জামায়াতের সাথে অঘোষিত ঐক্যের মাঝেই আছে বিএনপি। রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা বিতর্কে থাকা জামায়াতে ইসলামীকে কোনভাবেই জাতীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করা যাচ্ছে না।এসব বিতর্ক আলোচনা-সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জামায়াতের প্রায় ২৪ নেতার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়েছে বিএনপি। এসব আসনে বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে, জামায়াত নেতাদের দেখানো হয়েছে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসন।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে দাবি করে ১৯৯১ এর পঞ্চম সংসদ নির্বাচন থেকেই এই আসনে নির্বাচন করেন তিনি। ২০০১ সাল থেকে জোটের হিসাবে এ আসনে জামায়াতকে ছাড় দিয়ে আসছে বিএনপি। তবে এবার আর ছাড় দিতে নারাজ সিলেটের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের দাবি জামায়াতের নিজস্ব ভোট ব্যাংকের দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। এই আসনে জামায়াতের কোনো ভোট নেই। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন ভোট পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ২০৭টি। ৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি পান ২৮ হাজার ১২০ ভোট। কিন্তু পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০০১ সালে জোটের প্রার্থী হয়ে ৭৭ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

সিলেট ৫ সংসদীয় আসন জামায়াতের প্রার্থীরা প্রতিবারই ভোট ব্যাংকের দোহাই দেন। কিন্তু নিকট অতীতে এমন কোনো কিছু দেখাতে পারেননি তারা। আদতে তাদের যা ভোট আছে তার সবই বিএনপির। বিগত উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি।

একই অবস্থা সিলেট-৬ আসনেও। সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানিবাজার দুই উপজেলা নিয়ে এ আসনটিতে জামায়াতের মাওলানা হাবিবুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তবে এই সিদ্ধান্ত সহজভাবে নেয়নি স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ১১ জন জনপ্রতিনিধি একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তারা দলের বাইরে কাউকে ধানের শীষ প্রতীকে মেনে নেবেন না।

এই আসনটিতে জামায়াতের ভোটের অবস্থা করুণ। ২০০১ সালে জোটগত নির্বাচনের সময়ও জামায়াত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ২০০৮ সালেও প্রায় ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন জামায়াতের হাবিবুর রহমান। এবারও তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সেজন্যেই এ আসনের বিজয় নিয়ে আসতে বিএনপি’র নিজস্ব নেতাই প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।সিলেট-৬ এ মহাজোটের হেভীওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে জামায়াতের প্রার্থী টিকে থাকতে পারবেন না বলেই তারা মনে করছেন।

এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন