অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে আলোচিত সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের সদস্য আরিয়ান আহমেদ রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এ অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, “এখনো মামলা হয়নি, আমরা অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে দেখছি।”
রোববার রাত ৮টার পর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
আটকের ১৮ ঘণ্টার পরেও ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন সাংবাদিক আনিস আলমগীর। তাকে কোনও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, তাকে এখনও কোনও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তিনি ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন। তবে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রোববার রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করা হয়।
তিনি বলেন, “আনিস আলমগীর, মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।”
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ বলেন, “বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ার টকশোতে নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি সাইবার সংক্রান্ত।”
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, “২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা নানা কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
“গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।”
অভিযোগকারী আরও বলেন, “অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। এর পরিণতিতে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা ও অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।”


















